আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রংপুরে আগমন উপলক্ষে নগরের প্রধান প্রধান সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করেছে রংপুর সিটি করপোরেশন। সেই সঙ্গে চলছে প্রচারণা ও নেতাদের মধ্যে তোরণ নির্মাণের প্রতিযোগিতা। প্রতিটি তোরণে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপশি নিজেকে তুলে ধরছেন অনেকেই। জনসমাবেশস্থলে আসা পিপাসার্ত মানুষের জন্য সোয়া ২ লাখ বোতল পানির ব্যবস্থা করেছে সিটি করপোরেশন।

রংপুর সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নগরীর আর কে রোড, সিও বাজার থেকে মেডিকেল মোড় দিয়ে মডার্ন মোড় হয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং লালবাগ থেকে শাপলা চত্বর হয়ে পায়রা চত্বর, সিটি বাজার, কাচারী বাজার, জিলা স্কুল থেকে চেকপোস্ট পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার, ফুটপাত ও ডিভাইডার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে জোরেশোরে। সার্কিট হাউস ও বঙ্গবন্ধুর মুরাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, জিলা স্কুল মাঠ, মেডিকেল মোড় থেকে ডিসির মোড়েও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। নগরীর বিভিন্ন সড়কে নৌকা প্রতীক-সংবলিত ২ শতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। এসব তোরণ ব্যক্তি-উদ্যোগে তৈরি করেছেন অনেকে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন অনেকে। ওইসব তোরণে ব্যক্তিগত প্রচারণা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতারা।

প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে সভা করছেন। সব মিলিয়ে দেখা গেছে রংপুরবাসী উন্মুখ হয়ে বসে আছেন প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নেওয়ার জন্য। সব জায়গায় সাজ সাজ রব লক্ষ করা গেছে।

অপরদিকে গতকাল দুপুরে রংপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে জেলা যুবলীগের একটি বর্ণাঢ্য শোভযাত্রা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রায় প্রধানমন্ত্রীর সাজে ঘোড়ার গাড়িতে থাকা কিশোরী, বাদযন্ত্রের তালে তালে নেতা-কর্মীদের নাচ, একতারা হাতে সংস্কৃতিকর্মীদের অংশগ্রহণ এবং নেতা-কর্মীদের হাতে থাকা ব্যানার-ফেস্টুন রাস্তার দুই ধারে থাকা মানুষের নজর কাড়ে। নগরীর বঙ্গবন্ধু মুরাল প্রাঙ্গণে জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লক্ষ্মণ চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগ নেতা ডিজেল আহমেদ, নওশাদ হোসেন রাজুসহ অন্যরা।