বরিশালের নদ-নদীতে পানি আবারও বেড়েছে। গতকাল বিভাগের ছয়টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। আরও কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করে প্রবাহিত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোগ্রাফি বিভাগের এক রিপোর্টে জানা গেছে, গতকাল ভোলার তজুমুদ্দিন উপজেলায় মেঘনা ও সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার (২.২২ মিটার) ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং দৌলতখান পয়েন্টে এই দুই নদীর পানি বিপৎসীমার (২.৭৫ মিটার) ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, হিজলা পয়েন্টে ধর্মগঞ্জ নদীর পানি বিপৎসীমার (২.৫০ মিটার) ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, বিষখালী নদীর পানি বরগুনা পয়েন্টে বিপৎসীমার (১.৯৭ মিটার) ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, একই নদীর পানি যথাক্রমে পাথরঘাটা পয়েন্টে বিপৎসীমার (১.৮৫ মিটার) ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও বেতাগী পয়েন্টে বিপৎসীমার (১.৬৮ মিটার) ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, পিরোজপুরে বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার (১.৪৯ মিটার) ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং কঁচা নদীর পানি উমেদপুর পয়েন্টে বিপৎসীমা (১.৬৫ মিটার) ছুঁয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এ ছাড়া বরিশালে কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, বুড়িশ্বর নদীর পানি বাকেরগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, বিষখালী নদীর পানি ঝালকাঠি পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, ভোলা খেয়াঘাট পয়েন্টে তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, মির্জাগঞ্জ পয়েন্টে বুড়িশ্বর ও পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং আমতলী পয়েন্টে এই দুই নদীর পানি ১৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন জানান, এখন পূর্ণিমার জো চলছে। ভরা পূর্ণিমায় নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পায়। ধীরে ধীরে এই পানি কমে যাবে বলে ধারণা করছেন তারা।