বুধবার, ২ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

বন্ধ ঘোষণার পরও বাজারে খোলা সয়াবিন

নিম্ন আয়ের ক্রেতারা বলছেন দুর্ভোগ বাড়াবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাজারে খোলা সয়াবিন তেলের বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ১ আগস্ট থেকে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হওয়ার কথা। এ বিষয়ে এখনো অনেকেই জানেন না। বাজারে খোলা তেল বিক্রি বন্ধের খবরকে দুর্ভোগ বাড়াবে বলে মনে করছেন নিম্ন আয়ের ক্রেতারা। তারা বলছেন, নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী বাজারে এ সিদ্ধান্ত তাদের আরও চাপে ফেলবে। খোলা তেল স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে, এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থার সুপারিশে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে খোলা সয়াবিন তেল। এ ব্যাপারে বাজার তদারকির জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে। তারা বলছে, সম্প্রতি দেশের ভোজ্য তেল কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাতে দেশের বাজারে খোলা সয়াবিন তেল না রাখার ব্যাপারে কথা দিয়েছে কোম্পানিগুলো। ক্রমান্বয়ে বাজার থেকে খোলা সয়াবিন বিক্রি বন্ধে প্রস্তুতিও নিয়েছে সরকারি এ সংস্থাটি। বিক্রেতারাও বলছেন, তারা আগের তেল বিক্রি করছেন। ফুরিয়ে গেলে আর বিক্রি করবেন না। রাজধানীর রায়েরবাগ, শনিরআখড়া, যাত্রাবাড়ী, মালিবাগ, মগবাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, এখনো অনেক দোকানে খোলা তেল বিক্রি হচ্ছে। দোকানদার শাহীন বলেন, ‘বিক্রি বন্ধের বিষয়ে জানতাম না। তা ছাড়া আমাদের মজুদ মালের কী হবে? সেই তেল তো ফেলে দিতে পারব না। শেষ হলে এরপর কিনতেও পারব না, বিক্রিও করব না।’ সব দোকানদারের একই কথা- মজুদ শেষে আর বিক্রি করব না। এক দোকান থেকে খোলা তেল কিনছিলেন গার্মেন্ট কর্মী শহিদুর রহমান। এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘এমনিতেই জিনিসপত্রের অনেক দাম বেড়েছে। সবকিছুর দাম হুহু করে বাড়ছে। প্যাকেটজাত তেলের দাম বেশি। খোলা তেল তো আমাদের মতো গরিবরাই কেনে। এ তেল বিক্রি বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের মতো কম আয়ের মানুষের জীবনযাপনে দুর্ভোগ বাড়বে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর