রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। আগে বেশির ভাগ রোগীই ছিল রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার। তবে সম্প্রতি ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের একটি বড় অংশই রাজশাহীর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, রাজশাহীতেও ছড়িয়ে পড়ছে ভয়াবহ এ ডেঙ্গুর প্রকোপ। ফলে ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বাড়ছে রাজশাহীতেও। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টার ডেঙ্গু রিপোর্টে দেখা গেছে, গতকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত ৬৯ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২০ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন। আগে ভর্তি ছিলেন ৬৫ জন। তবে এর মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৬ জন। আর এর মধ্যে ৩৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন রাজশাহীতেই। বাকিরা রাজধানী ঢাকার বা তাদের ঢাকা ভ্রমণের ঘটনা আছে। এ ছাড়া খুলনা, পাবনা, নাটোর, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ডেঙ্গু রোগীও রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদিকে যতই দিন যাচ্ছে রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে রোগী ভর্তির সংখ্যা দীর্ঘ হচ্ছে। প্রতিদিনই রোগী ভর্তি হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হলেও ক্রমবর্ধমান সংক্রমণে হিমশিম খাচ্ছে রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে হাসপাতালের বেড সংখ্যা ৫২ থেকে ৬৯-এ উন্নীত করা হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ বলেন, রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ক্রমেই  বাড়ছে। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহের চেয়ে আগস্টের শুরুতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আরও বেশি।

ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য হাসপাতালের একটি বিশেষায়িত টিম এখন কাজ করছে। মজুদ রাখা হয়েছে ওষুধপত্রও। তবে ক্রমবর্ধমান হারে রোগী বাড়তে থাকলে রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় হিমশিম খেতে হবে। রামেক হাসপাতাল পরিচালক আরও বলেন, চলতি ডেঙ্গু মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৩৩৫ জন ডেঙ্গু রোগীকে এ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন একজন। আর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২৬৫ জন রোগী। সময় থাকতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাই সচেতন না হলে সামনে এ হাসপাতালের রোগীদের চিকিৎসা দিতে আরও বেগ পেতে হবে।