শনিবার, ৫ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না খুলনায়

মেগা দুই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ছে, সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি আরও দুই বছর

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না খুলনায়

খুলনা নগরীতে মেগা দুই প্রকল্পে সড়ক মেরামত উন্নয়ন ও জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল গত ৩০ জুন। কিন্তু করোনার স্থবিরতাসহ নানা কারণে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি।

২০১৮ সালে শুরু হওয়া সড়কে খোঁড়াখুঁড়ির কাজের দীর্ঘসূত্রতায় জনগণ এরই মধ্যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এই দুই প্রকল্পের মেয়াদই আরও দুই বছর বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। ফলে সড়কে চলাচলের ভোগান্তি এখনই শেষ হচ্ছে না।

জানা যায়, গত ১২ জুন খুলনা সিটি নির্বাচন সামনে রেখে জনগণের ভোগান্তি কমাতে সাময়িকভাবে এপ্রিল থেকে সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ করে সিটি করপোরেশন। নির্বাচনের পর বিভিন্ন স্থানে ড্রেনেজ নির্মাণের কাজ শুরু হলেও প্রকল্পের বাকি কাজ শেষ করতে আরও প্রায় দুই বছর সময় লাগবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এরই মধ্যে ৮২৩ কোটি টাকার ড্রেনেজ প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমানে নগরীতে ২৫০-৩০০ রাস্তা, ড্রেন ও খালের কাজ চলছে।

অন্যদিকে খুলনা ওয়াসার ২৩৩৪ কোটি টাকার পয়ঃনিষ্কাশন প্রকল্পে ২৬৯ কিলোমিটার পাইপলাইন বসানোর কাজ বর্তমানে বন্ধ আছে। এ প্রকল্পের কাজ শেষ হতে সময় লাগবে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। বৃষ্টির মৌসুম শেষ হলেই ওয়াসার পয়ঃনিষ্কাশন প্রকল্পে নতুন           করে আবারও নগরীর অধিকাংশ সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি, ম্যানহোল তৈরি ও পাইপ বসানোর কাজ শুরু হবে।

এদিকে পরিকল্পনা কমিশন সড়কের সংস্কার কাজে ওয়াসার প্রকল্পের সঙ্গে কেসিসির সড়ক মেরামত প্রকল্পের সমন্বয়ের নির্দেশনা দিয়েছে।

কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম জানান, একই সড়কে বারবার কার্পেটিংয়ে যেন অর্থের অপচয় না হয় এ জন্য পরিকল্পনা কমিশনের নির্দেশনা মেনে সড়কে আগে খোঁড়াখুঁড়ি ও পাইপ বসানোর কাজ করবে ওয়াসা। তাদের কাজ শেষ হলে কেসিসি কার্পেটিং করবে। ফলে ওয়াসার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কার্পেটিংয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

জানা যায়, কেসিসির ৬০৭ কোটি টাকার সড়ক মেরামত উন্নয়ন প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু ওয়াসার পয়ঃনিষ্কাশন প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত হওয়ায় কেসিসির এই প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক দফা বৃদ্ধি করা হতে পারে।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর জেলা সম্পাদক কুদরত-ই খুদা বলেন, সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি কাজে দীর্ঘসূত্রতায় জনগন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এরপর প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি      হওয়ায় সড়ক সংস্কারের কাজে আরও সময় লাগবে। ফলে নাগরিক ভোগান্তির এখনই অবসান হচ্ছে না।

এ বিষয়ে সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, কেসিসির দুই প্রকল্পে ১৪০০ কোটি টাকার কাজ শুরুর পর করোনার কারণে সময়মতো কাজ শেষ করতে পারিনি। এখন ২৫০-৩০০ রাস্তা, ড্রেন খালের কাজ চলছে। সড়কে ওয়াসার পাইপলাইন বসানোর জন্যও সময় লাগছে। তবে বৃষ্টির মধ্যে সড়কে কোনো খোঁড়াখুঁড়ি হবে না। বৃষ্টি মৌসুম শেষ হলে  কেসিসি-ওয়াসার আলোচনার মাধ্যমে কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর