জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ফার্মেসি বিভাগে তীব্র সেশনজট সৃষ্টি হয়েছে। বিভাগটির স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে আটকে আছেন পরপর দুটি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া ভর্তি হওয়ার সাত বছর পরও স্নাতক শেষ করতে পারেননি বিভাগটির ২০১৬-১৭ (৪৬ ব্যাচ) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। এতে চাকরি পরীক্ষায় আবেদন না করতে পারার মতো চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফার্মেসি বিভাগের ২০১৪-১৫ (৪৪ ব্যাচ) শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত পরীক্ষা সম্পন্নের আগেই ২০১৫-১৬ (৪৫ ব্যাচ) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তরের ক্লাস শুরু হয়েছে। এতে মাস্টার্স প্রোগ্রামে একসঙ্গে দুটি ব্যাচ জমেছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগের ৪৪ ব্যাচ প্রায় তিন বছর ও ৪৫ ব্যাচ দুই বছর আগে স্নাতকোত্তর শেষ করে বেরিয়ে গেছে। এ ছাড়া একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী- বিভাগটির ২০১৬-১৭ (৪৬ ব্যাচ) শিক্ষাবর্ষের স্নাতক পঞ্চম বর্ষ ও ২০১৭-১৮ (৪৭ ব্যাচ) শিক্ষাবর্ষের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা ২০২১ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো হয়নি। বিভাগটিতে ২০১৯-২০ (৪৯ ব্যাচ) শিক্ষাবর্ষের দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা সম্পন্নের আগেই তাদের তৃতীয় বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে। এতে বিভাগটিতে বর্তমানে তৃতীয় বর্ষে পরপর দুটি ব্যাচ জমেছে। ফলে তাদের ২০১৮-১৯ (৪৮ ব্যাচ) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একই বর্ষে ক্লাস করতে হচ্ছে। যেখানে অন্যান্য বিভাগের ৪৮ ও ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা যথাক্রমে ¯œাতক চতুর্থ ও তৃতীয় বর্ষে রয়েছে। এদিকে তীব্র সেশনজটের ভোগান্তি থেকে প্রতিকার চেয়ে ১২ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার বরাবর একটি চিঠি দিয়েছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।
বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, দেরি করে পরীক্ষা নেওয়া, ফলাফল দেওয়া বিভাগের একটি নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাঁচ বছরের কোর্স সম্পন্ন করতে কমপক্ষে সাত বছর লাগে। দু-একজন শিক্ষক ছাড়া বাকিরা ক্লাস, ল্যাবে ঠিকমতো থাকেন না। সময়মতো ফলাফল না পাওয়ায় আমরা বিভিন্ন চাকরি পরীক্ষায় বসতে পারছি না। দেরিতে ফলাফল প্রকাশিত হওয়া বা সেশনজটের দায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস।