শনিবার, ৫ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত

দুই প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন-ভাতা তুলছেন শ্রমিক লীগ নেতা

মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে তথ্য গোপন করে সরকারি দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন ও সম্মানীর টাকা তুলছেন এক শ্রমিক লীগ নেতা। প্রায় দেড় বছর ধরে এ কাজটি করে যাচ্ছেন মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার ও ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. কামাল হোসেন। পরিষদের মেম্বার হিসেবে প্রতি মাসে সরকারি কোষাগার থেকে তিনি সম্মানী নিচ্ছেন ৩ হাজার ৬০০ টাকা। অপরদিকে একই ইউনিয়নের মধ্য বিশারীঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি কাম নৈশপ্রহরী পদে চাকরির বিপরীতে নিয়মিত হাজিরা দেখিয়ে প্রতি মাসে নিচ্ছেন ১৪ হাজার ৪৫০ টাকা। বিশারীঘাটা গ্রামের নূর মোহাম্মদ খানের ছেলে কামাল হোসেন ২০১৩ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দফতরি কাম নৈশপ্রহরী পদে চাকরি নেন। এর পরে ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর সদর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মেম্বার নির্বাচিত হন। মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর বিদ্যালয়ে লাইলী বেগম নামে এক নারী প্রক্সি দিচ্ছেন তার পদে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. কামাল হোসেন ২০০৮ সালে প্রথম ভোটার আইডি করেন। সেখানে তার নাম লেখা রয়েছে মো. কামাল হোসেন। পিতা-নূর মোহাম্মদ। জন্ম তারিখ-০১.০১.১৯৮৩। এরপর বিদ্যালয়ে দফতরি পদে চাকরি নিতে প্রায় ১০ বছর বয়স কমিয়ে ২০১৩ সালে নিজের নাম ও পিতার নামে কিছুটা পরিবর্তন দেখিয়ে আরও একটি ভোটার আইডি করেন। সেখানে জন্ম তারিখ লেখা হয়েছে ১৫.৭.১৯৯৪। নাম লেখা হয়েছে মো. কামাল হোসেন খান। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহাদাৎ হোসেন সার্ভার চেক করে বলেন, কামাল হোসেনের দুটি ভোটার আইডি সচল আছে।

যার প্রথমটির নম্বর ০১১০৫২৮৩৮১০৫ (২০০৮)। দ্বিতীয়টির নম্বর ০১১০৫২০০০১৭৪ (২০১৩)। জন্ম তারিখ, নিজের নাম ও পিতার নামে কিছুটা পরিবর্তন দেখানো হয়েছে। দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন ও সম্মানী গ্রহণের বিষয়ে কামাল হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের সময় সব তথ্য দিয়েছি। তখন তো আমার নমিনেশন ফরম বাতিল করেনি। আমি নিয়মিত স্কুলে চাকরি করি। পরিষদেও যাই। আমার অনুপস্থিতিতে অন্য একজন দায়িত্ব পালন করেন। এতে কোনো সমস্যা হয় না’। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন আক্তার জানান, কামাল মাঝে মধ্যে থাকেন না। তখন তার পরিবর্তে লাইলী নামে এক মহিলা দায়িত্ব পালন করেন। প্রতি মাসে কামালকেই নিয়মিত দায়িত্ব পালনের বিষয়ে প্রত্যয়ন দেওয়া হয়। প্রক্সির বিষয়ে লাইলী বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি চা-বিস্কুট আনার কথা বলে পালিয়ে যান। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম তারেক সুলতান বলেন, বিদ্যালয়ের দফতরি ও ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হিসেবে দুটি পদে একই সঙ্গে দায়িত্ব পালন ও আর্থিক সুবিধা গ্রহণের সুযোগ নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর