রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

উন্নত প্রজাতির গাড়ল পালনে আগ্রহ বাড়ছে

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

উন্নত প্রজাতির গাড়ল পালনে আগ্রহ বাড়ছে

খরচ কম, লাভ বেশি এবং চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় গাড়ল (উন্নত জাতের ভেড়া) পালনে আগ্রহ বাড়ছে খামারিদের। ভেড়ার একটি উন্নত প্রজাতি এ গাড়ল। এগুলো দেখতে প্রায় ভেড়ার মতো। দেশি ভেড়ার চেয়ে এটি আকারে বড়, মাংসও বেশি হয়। এখন বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠেছে গাড়লের খামার। তবে সরকারি সহযোগিতা ও সহজ শর্তে ঋণ পেলে নিজ উদ্যোগে গড়ে উঠবে আরও অনেক গাড়লের খামার এবং মাংসের চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখবে বলেও মনে করেন খামারিরা। খামারিরা জানান, দিনাজপুর সদর উপজেলায় ৭-৮ জন খামারি প্রায় ১ হাজার গাড়ল পালন করছেন। তুলনামূলক গৃহপালিত অন্য প্রাণীর চেয়ে গাড়লের রোগ বালাই কম এবং দ্রুত মাংস বৃদ্ধি হয়, আবার এর মাংসে চর্বি কম থাকে। সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ঘুঘুডাঙ্গার চৌধুরীপাড়ার মো. রায়হান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবি-এর ছাত্র। ২০২০ সালে ১০টি গাড়ল নিয়ে ছোট্ট খামার গড়ে তোলেন। সফলতাও আসে তার। তিনি এখন বড় খামারের স্বপ্ন দেখছেন। ১ লাখ টাকা দিয়ে এই খামার শুরু করেন। এখন তার খামারে ৫০টি গাড়ল রয়েছে। রায়হান বলেন, গাড়ল পালনে যে কেউ প্রতি মাসে গড়ে ২৫-৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। এর মাংস সুস্বাদু, পুষ্টি গুণও ভালো। প্রতি কেজি মাংস ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। মাঠে ছেড়ে দিয়ে প্রাকৃতিক খাবার যেমন মাঠের ঘাস, লতাপাতা খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে পালন করা যায়। রোগবালাই খুব কম। ফলে গাড়ল পালনে খরচও কম। লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। গাড়লের মাংস ছাড়াও পশম বিক্রির উপায় খুঁজছেন। এটা সম্ভব হলে আরও লাভবান হবে খামারিরা এবং এর পালন আরও বেড়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।

দিনাজপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস জানায়, নিয়মিত টিকাসহ সব ধরনের সেবা দেওয়া হচ্ছে। সদরে ছোট বড় ৭-৮টি গাড়লের খামার রয়েছে। অল্প পুঁজিতে বেশি লাভ হওয়ার কারণে অনেকেই এই গাড়ল পালন করছে এবং অনেকের ভাগ্য বদলাচ্ছে। গাড়ল পালনে চিকিৎসা সেবা, পরামর্শসহ সব ধরনের সহযোগিতা করছে কৃষি বিভাগ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর