সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

দেশে ডিজিটাল ভূমি জরিপের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো বাংলাদেশ ডিজিটাল ভূমি জরিপ (বিডিএস) কার্যক্রম। এর মাধ্যমে অল্প সময়ে সমগ্র বাংলাদেশে ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে তথা ভূ-সম্পদ জরিপ শেষ করা হবে। ফলে পরবর্তীতে কমে যাবে মাঠে গিয়ে সার্ভের প্রয়োজনীয়তা। গতকাল বন্দরনগরী চট্টগ্রামের প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) মিলনায়তনে বিডিএস রোলআউটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। প্রায় ১৩০ বছর পূর্বে বাংলাদেশে প্রথম বিজ্ঞানভিত্তিক জরিপ শুরু হয় চট্টগ্রাম থেকে উল্লেখ করে ভূমিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, চট্টগ্রামে শুরু হওয়া বিডিএস হবে মাঠে গিয়ে পরিচালিত শেষ জরিপ। চট্টগ্রামে বিডিএস রোলআউটের মধ্য দিয়ে সারা দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুত বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো।

ভূমি সচিব মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আবদুল বারিক, বিডিএস কার্যক্রমের ইডিএলএমএস প্রকল্প পরিচালক জহুরুল ইসলাম, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান প্রমুখ।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভের মূল উদ্দেশ্য অল্প সময়ে সমগ্র বাংলাদেশে ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে শেষ করা এবং পরবর্তীতে মাঠে গিয়ে সার্ভের প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে আনা। এ ছাড়া কোনো এলাকায় প্রাকৃতিক কারণে বড় ধরনের ভূমির বিচ্যুতি না ঘটলে রিভিশন্যাল সার্ভের প্রয়োজনীয়তাও থাকবে না। এ ছাড়া আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের খসড়া আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্যে সংসদে পাঠানো সম্ভব হবে। অবৈধ জমি দখলের দিন ফুরিয়ে আসছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অবৈধ জমি দখলের জন্য জেল ও জরিমানা- দুটোরই ব্যবস্থা আছে এই আইনে।

ভূমি সচিব জানান, বিডিএস কার্যক্রমে একই সঙ্গে অনলাইনে মৌজা ম্যাপ ও খতিয়ান পাওয়া যাবে। ১৫ দিনের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সৃষ্ট দাগ সংশোধনের নকশাসহ খতিয়ান তৈরি হবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, নির্ভুলভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ করার জন্য স্যাটেলাইট, ড্রোন তথা ইউএভি এবং গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশনের সমন্বয়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। বিডিএস বাস্তবায়িত হলে ভূমি জরিপ, ভূমি ব্যবস্থাপনা অফিসের মধ্যে নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠাসহ অটোমেশন ব্যবস্থার প্রবর্তন হবে। মৌজা-ম্যাপ ও রেকর্ডের মধ্যে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার ফলে ভূমির মালিকরা সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে রেকর্ড ও প্লট দেখার সুযোগ পাবেন।

এর আগে গত বছরের (২০২২) ৩ আগস্ট পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার ইটবাড়ীয়া ইউনিয়নে বিডিএস পাইলটিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছিলেন ভূমিমন্ত্রী। পাইলট প্রকল্পের সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে এবার চট্টগ্রাম থেকে পূর্ণাঙ্গ বিডিএস কার্যক্রম শুরু করলেন ভূমিমন্ত্রী।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর