সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

দেশে মেডিকেল ডিভাইসের দাম বেশি রাখা হয় : ভোক্তা ডিজি

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, মেডিকেল ডিভাইস চাল-ডালের কোনো ব্যবসা নয়, এটি জীবন রক্ষাকারী পণ্যের ব্যবসা। বাংলাদেশে হার্টের পেসমেকার ও ভাল্বসহ মেডিকেল ডিভাইস যে দামে বিদেশ থেকে আমদানি করা হয় তা রোগীদের কাছে বিক্রির ক্ষেত্রে অনেক বেশি দাম রাখা হয়। গতকাল রাজধানীর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সভাকক্ষে মেডিকেল ডিভাইস ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। মেডিকেল ডিভাইস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি গাজী এ কে শাহীন, সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল ক্লিনিক শাখার সহকারী পরিচালক ডা. মো. মাহমুদুর রহমান, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ভোক্তা ডিজি বলেন, মেডিকেল ডিভাইসের মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি ও দামের যে তথ্য আমরা পেয়েছি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডাটা এনালাইসিস করে দেখেছি এ দুইয়ের দামের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা আলাদা একটি স্টাডি করেছি, সেখানেও এসব পণ্যের দামে বিস্তর ফারাক পেয়েছি।

এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, প্রতিবেশী দেশেও এ চিকিৎসায় খরচ অনেক কম। কিন্তু আমাদের দেশে কেন এত বেশি হবে? এ বিষয়টি ভালো করে দেখার সুযোগ রয়েছে। আমরাও পেসমেকার-ভাল্ব যে দেশগুলো থেকে আমদানি করি, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতও সেসব দেশ থেকেই আমদানি করে। তাহলে দুই দেশের মধ্যে এত দামের ফারাক হবে কেন সেটি জানা খুবই জরুরি।

তিনি বলেন, হৃদরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত মেডিকেল ইকুইপমেন্টের দাম ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের পক্ষ থেকে ঠিক করে দেওয়া রয়েছে। আমরা যখন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আমদানির তথ্য নিলাম তখন দেখতে পেলাম ৩০ ডলার থেকে ৭ হাজার ডলারের ইকুইপমেন্ট রয়েছে। এক্ষেত্রে ৩০ ডলারে ইমপোর্ট করে ৩ লাখ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে কি না সেটি দেখতে হবে। এটি চাল-ডালের ব্যবসা নয়, এটি জীবন রক্ষাকারী একটি পণ্যের ব্যবসা। এক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে এখানে কিছু অভিযোগ উঠেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। একটি প্রতিষ্ঠানে নির্ধারিত মূল্যের থেকে ৭০ হাজার টাকা বেশি দামে বিক্রির প্রমাণ পেয়েছি। ফলে প্রতিষ্ঠানটিকে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপর আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে বসেছি। কোনো পণ্যের আমদামি মূল্য কত, আর বিক্রয়মূল্য কী রাখা হচ্ছে, তা জানা প্রয়োজন।

এ সময় তিনি বলেন, দাম পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী অবস্থা জানানো হবে বলে জানিয়েছেন এ এইচ এম সফিকুজ্জান। জীবন রক্ষাকারী এসব পণ্যে যেন মনোপলি তৈরি না হয় সেটিই তাদের প্রত্যাশা বলেও জানান তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর