সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

নতুন কৃষকদের অগ্রাধিকার দিয়ে ঋণ দেওয়ার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ব্যাংকগুলোর জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া নতুন কৃষকদের অগ্রাধিকার দিয়ে ঋণ দেওয়া, ছাদ কৃষিতে অর্থায়ন এবং ব্যাংকের নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ ৫০ শতাংশে উন্নীত করার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে গতকাল কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ঘোষণা করেন ডেপুটি গভর্নর এ কে এম সাজেদুর রহমান খান। এ সময় বাণিজ্যিক ব্যাংকের এমডি ও সিইও, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক, কৃষি ঋণ বিভাগের পরিচালকসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর বলেন, চলতি অর্থবছরে কৃষি খাতে ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি ঋণ বিতরণ নিশ্চিত করতে তিনি ব্যাংক নির্বাহীদের বেশকিছু নির্দেশনা দেন। এসব নির্দেশনার মধ্যে ব্যাংকের নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ ৫০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। আগে কিছু ব্যাংক এনজিওর মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রার ৭০ শতাংশ ঋণ বিতরণ করত। এটি এখন ৫০ শতাংশের বেশি করা যাবে না। মৎস্যখাতে কমপক্ষে ১৩ শতাংশ ও প্রাণিসম্পদে কমপক্ষে ১৫ শতাংশ এবং গ্রামীণ আয় উৎসারিত কর্মকান্ডে ঋণসীমা সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ডেপুটি গভর্নর।

 এ ছাড়া ভেনামি চিংড়ি, কাঁকড়া ও কুঁচিয়া চাষ, ঋণ নিয়মাচারের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কালো ধান, অ্যাভাকাডো ফল ও পাতি ঘাস চাষ। ছাদ বাগানকেও আনা হয়েছে কৃষিঋণের আওতায়।

সাজেদুর রহমান বলেন, দেশের কৃষি যন্ত্রায়নের পথে অনেক এগিয়েছে। আগে থেকেই কৃষি ও সেচ যন্ত্রপাতি কিনতে ব্যাংক থেকে ঋণ দেওয়া হয়। এবারের কৃষি ঋণ নীতিমালায় কৃষি ঋণ ও সেচ যন্ত্রপাতি খাতে ঋণের হার আরও বাড়ানো হয়েছে। প্রাণিসম্পদ খাতের পশুপালন খাতে খরচ নির্ধারণের ক্ষেত্রে নিজস্ব জমির পাশাপাশি লিজকৃত জমিতে খামার স্থাপনের ক্ষেত্রেও ঋণ বিতরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, কৃষি ঋণ বিতরণে পর্যবেক্ষণ জোরদার করতে শাখা পর্যায় পর্যন্ত নজরদারির আওতায় আনতে হবে। ব্যাংকের শাখাভিত্তিক এবং মাসিক ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে ব্যাংকের শাখাকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। যেসব ব্যাংক কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হবে, সেসব ব্যাংকের অনর্জিত কৃষি ঋণের সমপরিমাণ টাকা জরিমানা হিসাবে ১৮ মাসের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণের সাধারণ তহবিলে জমা রাখতে হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক মাত্র ২ শতাংশ হারে সুদ পাবে। আর ওই টাকা কৃষি ঋণ হিসেবে বিতরণ করা হবে। কৃষি ও পল্লী খাতে ঋণ দেওয়ার মাধ্যমে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে আলোচ্য কর্মসূচি গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান ও আয় বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর