বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

প্রকাশ্যে ভরাট হচ্ছে জলাশয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

প্রকাশ্যে ভরাট হচ্ছে জলাশয়

রাজশাহী মহানগরীর ভিতরে ১৮৬ বিঘার জলাশয়। সেখানে মাছ ধরা, পাখির কলতান, নৌকা নিয়ে মানুষের ঘোরাঘুরি সবই হতো। কিন্তু তাতে ছেদ পড়েছে। হঠাৎই সে জলাশয় ভরাট করছেন সাচ্চু নামে এক ব্যক্তি। এক সপ্তাহ ধরে চলছে ভরাটের কাজ। পৈতৃকসূত্রে তিনি ওই জলাশয়ের ১৫ বিঘার মালিক। সম্প্রতি উচ্চ আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন, রাজশাহী মহানগরীর কোনো জলাশয় ভরাট করা যাবে না। সিটি করপোরেশনকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। নগরীর ষষ্টিতলার সাচ্চু বলেন, ‘জলাশয়টির পৈতৃকসূত্রে আমি পেয়েছি। কাগজে কলমে ভিটা উল্লেখ আছে। আমার জায়গা আমি ভরাট করব, নাকি খনন করব সেটা আমার বিষয়। অন্যদের কী? আমি পরিবেশ অধিদফতর থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়েছি।’ রাজশাহী মহানগরীর শাহ মখদুম থানার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বড়বনগ্রাম রায়পাড়ার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের পেছনে ১৮৬ বিঘা আয়তনের জলাশয়টি। এটি আগেও ভরাটের চেষ্টা হয়েছিল। তখন স্থানীয়রা আন্দোলন শুরু করলে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন আবার জলাশয়টি ভরাট করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৫ বিঘার বেশি ভরাট হয়ে গেছে। রায়পাড়ার রনি (৩৭), শামসুল (৪৪) ও আলম (৫০) জানান, ছোটবেলা থেকেই তারা জলাশয়টি দেখছেন।

এখানে অনেকে মাছ ধরতে আসে। শহরের মধ্যে এত বড় জলাশয় আর নেই। বর্ষার সময় পানি নিষ্কাশনের কাজেও লাগে। কিন্তু এখন সেটি ভরাট করা হচ্ছে।

রোডপাড়া তারা মসজিদের সভাপতি সাদেক আলী, হোটেল ব্যবসায়ী আকবর হোসেন বলেন, জলাশয়টির একাংশ ভরাট হলে পাবনাপাড়া, রায়পাড়াসহ টেক্সটাইল মিলের আশপাশে বসবাসকারীরা বর্ষা মৌসুমে পড়বে চরম বিপাকে। পানি নিষ্কাশনের অভাবে জলাবদ্ধতা বাড়বে। হাই কোর্টের নির্দেশনার পরও জলাশয়টি ভরাট বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহাদত আলী শাহু বলেন, ‘আমিও তাই শুনলাম। বিশালাকার জলাশয়টি নাকি আবারও ভরাট করা হচ্ছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখবে।’ রাজশাহী পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক কবির হোসেন বলেন, ‘ভরাটের বিষয়ে আমরা জানি না। এ ছাড়া মৌখিকভাবে কাউকে কিছু বলা দাফতরিক কোনো ফরমেট হতে পারে না।’

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর