শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

রংপুর অঞ্চলে কৃষকের ঘরে আসবে হাজার কোটি টাকা

পাট ও সোনালি খড়িতে সুদিন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুর অঞ্চলে কৃষকের ঘরে আসবে হাজার কোটি টাকা

রংপুর অঞ্চলে সোনালি আঁশ পাট কাটা প্রায় শেষের দিকে। বাজারে দামও ভালো। তাই কৃষকরা বেশ খুশি। এবার পাট ও পাট খড়ি বিক্রি করে ১ হাজার কোটি টাকার ওপরে ঘরে তুলবে এ অঞ্চলের কৃষকরা। এমনটা আশা করা হচ্ছে। তবে এবার পাট চাষে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলেও গত বছরের চেয়ে আবাদ বেড়েছে। রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলায় এবার পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৩ হাজার ৫৬৪ হেক্টর। আবাদ হয়েছে ৫২ হাজার ২৫৪ হেক্টর জমিতে। এই পরিমাণ জমি থেকে ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৫৪ বেল (প্রতিবেল ২০০ কেজি) পাট উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। গত বছর ৫১ হাজার ৬২৭ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। কৃষি অফিসের সূত্র মতে, প্রতি হেক্টরে পাটের উৎপাদন হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ মণ। প্রতি মণ পাট বিক্রি হয়েছে সর্বনিম্ন ২ হাজার ২০০ টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত। সেই হিসাবে পাট বিক্রি হবে ৯০০ কোটি টাকার ওপর। অপরদিকে প্রতিমণ পাট খড়ি বিক্রি হয়েছে গড়ে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। প্রতি হেক্টর জমির পাট খড়ি বিক্রি হয়েছে ৩০ হাজার টাকার ওপরে। সেই হিসাবে এ অঞ্চলের চাষিরা পাট খড়ি বিক্রি করবেন ১৫০ কোটি টাকার ওপর। পাট ও পাট খড়ি বিক্রি করে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ওপরে ঘরে তুলবে এ অঞ্চলের কৃষকরা। রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়নের বুলবুল মিয়া ২ একর জমিতে পাট আবাদ করে ফলন পেয়েছেন ৪০ মণ।

 প্রতি মণ ২ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি করে পেয়েছেন প্রায় ১ লাখ টাকা। একই পরিমাণ জমি থেকে পাট খড়ি পেয়েছেন ৭০ মণের ওপর। পাট খড়ি বিক্রি করে তার ঘরে আসবে আরও ৩৫ হাজার টাকার বেশি। বুলবুলের মতো রংপুর বিভাগের কয়েক লাখ পাট চাষি তাদের উৎপাদিত ফসলের ভালো দাম পাওয়ায় তারা বেশ খুশি। কাউনিয়ার চাষি আফজাল হোসেন জানান, পাট আবাদ করে তারা ২ ধরনের লাভ পাচ্ছেন। তা হলো ভালো দামে পাট বাজারে বিক্রি করা এবং পাট খড়ি বিক্রি করেও লাভবান হচ্ছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বুড়িরহাট হটিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক আবু সায়েম জানান, গত কয়েক মৌসুম থেকে পাটের বাজার দর বৃদ্ধি পাওয়ায় এ অঞ্চলে সোনালি আঁশ পাটের সুদিন ফিরে আসতে শুরু করেছে। চাষিরা এখন পাটের ওপর নির্ভরশীল।

সর্বশেষ খবর