শুক্রবার, ১১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট সংকট খুলনায়

বেসরকারি ক্লিনিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় অতিরিক্ত অর্থব্যয় ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট সংকট খুলনায়

খুলনার সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার কীট সংকট দেখা দিয়েছে। জ্বর নিয়ে রোগীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হলেও কীট না থাকায় তাদের ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকে ডেঙ্গু পরীক্ষায় অতিরিক্ত অর্থব্যয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ রোগীরা। জানা যায়, খুলনায় প্রতিনিয়ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে ১০৭ জন। এর মধ্যে চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। এদিকে রোগীর চাপ বাড়তে থাকায় খুলনার অধিকাংশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু কীট সংকট তৈরি হয়েছে। খুলনার নয়টি উপজেলার মধ্যে রূপসায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সবচেয়ে বেশি। এখানে কীট সংকট রয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শেখ সফিকুল ইসলাম জানান, জ্বর নিয়ে রোগীরা হাসপাতালে এলেও কীট না থাকায় ডেঙ্গু পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। বাইরে থেকে অনেকে ডেঙ্গু পরীক্ষা করে নিশ্চিত হচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রে অনুমাননির্ভর হয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। একইভাবে বটিয়াঘাটা ও দিঘলিয়াসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু কীট সংকট রয়েছে। ফলে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য শহরমুখী হচ্ছেন।

জানা যায়, বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন ৮৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৯ জন। খুলনা জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. এস এম কামাল হোসেন জানান বিভিন্ন উপজেলায় ডেঙ্গু কীট না থাকায় ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে কয়েকদফা চাহিদাপত্র দিলেও কীট পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু কীট সংকটে বিভিন্ন ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষায় ইচ্ছামতো ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ডেঙ্গুজ্বর নিশ্চিত হতে ডায়াগনস্টিক পরীক্ষায় এনএস-১ অ্যান্টিজেন ও আইজিএম পরীক্ষার প্রয়োজন হলেও রক্তের আরও কয়েকটি পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি আদায় করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও দ্বিগুণ/তিনগুণ বেশি ফি আদায় করা হয়। এন্টি ডেঙ্গু ইমিউনোগ্লোবুলিন জি (আইজিজি) ও আইজিএম পরীক্ষায় ১ হাজার ৫০০ টাকা ও রক্তের সিবিসি পরীক্ষায় ৯০০ টাকাসহ ২ হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর