বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে পণ্য ও বাজার বহুমুখীকরণের বিকল্প নেই। সম্ভাবনাময় পণ্য ও বাজার সম্পর্কিত গবেষণালব্ধ তথ্য এবং উদ্ভাবনী পরামর্শ সেবা রপ্তানি বৃদ্ধিতে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। গতকাল রাজধানীর টিসিবি ভবনে বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট (বিএফটিআই) এবং বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)-এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানির ৮৪.৫৮ শতাংশ এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। অন্যদিকে, রপ্তানি বাজারের ৬২.৮৮ শতাংশই ইউরোপীয় ইউনিয়ন (৪৫.৪২ শতাংশ) ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (১৭.৪৬ শতাংশ) মধ্যে কেন্দ্রীভূত।

মন্ত্রী আরও বলেন, এ সমঝোতার ফলে দেশি বিদেশি বিনিয়োগের পথ যেমন সুগম হবে তেমনি প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে পণ্য, সেবা এবং বাজার বহুমুখীকরণের মাধ্যমে সুদৃঢ় ও টেকসই রপ্তানি নির্ভর অর্থনীতি গড়ে তোলার মাধ্যমে ভিশন ২০৪১-এর সফল বাস্তবায়ন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সহায়ক হবে। বিএফটিআই ও বিসিআই তার গুণগত মানসম্পন্ন বাণিজ্য বিষয়ক গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে যথাযথ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ বাণিজ্যমন্ত্রীর।

বিসিআই-এর সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) তার বক্তব্যে বলেন, সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বিএফটিআই এবং বিসিআই-এর সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা ও বাণিজ্যিক উন্নয়নে বহুমাত্রিক কার্যক্রমের সূচনা হচ্ছে, যা বাংলাদেশের ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে।

বিএফটিআই-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিসিআই এবং বিএফটিআই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।