রবিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও শুরু হয়নি প্রশাসনিক ভবনসহ বহু উন্নয়ন কাজ

রুবেল হোসাইন, জাবি

প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও শুরু হয়নি প্রশাসনিক ভবনসহ বহু উন্নয়ন কাজ

প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২২ সালের মার্চে কিন্তু কাজ শেষ হয়নি। তখন ব্যয় না বাড়ানোর শর্তে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয় ২৪ সাল পর্যন্ত। তবে এখন পর্যন্ত শুরু হয়নি ১০তলা প্রশাসনিক ভবনসহ জীববিজ্ঞান, কলা ও মানবিক, গাণিতিক ও পদার্থ অনুষদের ছয়তলা বিশিষ্ট তিনটি ভবনের আনুভূমিক সম্প্রসারণের কাজ। এ ছাড়া জহির রায়হান অডিটোরিয়ামের মডিফিকেশন, সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চের উন্নয়ন, ছাত্রীদের খেলার মাঠ এবং  ব্রিজ ও ড্রেনসহ রাস্তা নির্মাণের কাজও শুরু হয়নি। এ জন্য শিক্ষার্থীরা দায়ী করছেন প্রকল্প বাস্তবায়নের ধীরগতিকে। আবার প্রকল্প পরিচালক বলছেন, কয়েকটি কাজ শিক্ষার্থীদের বাধার কারণে শুরু করা যায়নি।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) নিবিড় পরিবীক্ষণ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১ হাজার ৪৪৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে চলমান অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চুক্তির মেয়াদে শেষ করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আইএমইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে মাত্র ২৪ শতাংশ। ৫৬ শতাংশ কাজ চলমান এবং বাকি ২০ শতাংশ কাজ শুরুই হয়নি। বর্তমানে নির্মাণসামগ্রীর মূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধির আশঙ্কার কথা বলেছে আইএমইডি। এদিকে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের ধীরগতির কারণে ব্যয় বৃদ্ধি হলে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয়ের আশঙ্কা করছেন জাবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বর্তমানে প্রকল্পের প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কয়েকটি কাজ শিক্ষার্থীদের বাধার কারণে শুরু করা যায়নি। শিগগিরই সেগুলো শুরু হবে। আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ শতাংশ শিক্ষক ও কর্মকর্তা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বসবাস করে। নতুন করে আবাসিক ভবন নির্মিত হলেও ৫৮ শতাংশ শিক্ষক ও কর্মকর্তা সেখানে থাকতে চান না। বাকি ৪২ শতাংশের মধ্যে ২৯ শতাংশ নতুন ভবনে উঠতে আগ্রহী। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারে বর্তমানে ৪৭২টি বাসা রয়েছে, যার মধ্যে ৬৭টি খালি। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের যারা কোয়ার্টারে থাকতে আগ্রহী তাদের অধিকাংশই নতুন ভবনে উঠতে চান। সে ক্ষেত্রে নির্মাণাধীন শিক্ষক-কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবনগুলো অব্যবহৃত থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর