বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

উগ্রবাদীরা জনরোষের ভয়ে দেশকে ইসলামী রাষ্ট্র ঘোষণা করেনি : জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

উগ্রবাদীরা জনরোষের ভয়ে দেশকে ইসলামী রাষ্ট্র ঘোষণা করেনি : জয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, উগ্রবাদীরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর শুধু জনরোষের ভয়েই সেদিন দেশকে কট্টর ইসলামী রাষ্ট্র ঘোষণা করতে পারেনি। তিনি গতকাল জাতীয় শোক দিবসে ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন।

সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন লক্ষ্য পূরণে খুব ধীরস্থির ও চৌকশ। এই মানুষটির দৃঢ় মনোভাবের কারণে পাকিস্তানি শাসকরা পর্যন্ত তাকে অনেক সমীহ করত। ২৪ ঘণ্টা গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যে থেকেও তিনি বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফা বাস্তবায়নে সারা দেশে জনমত সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতেও পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী হামলা করেছিল ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাসায়। সেদিনও বীরদর্পে তাদের সামনে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- ‘স্টপ শুটিং’।

পাকিস্তানিরা ভড়কে গিয়েছিল সেই মহান নেতার ব্যক্তিত্বের কাছে।’

প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা আরও লিখেছেন, ‘একাত্তরের ডিসেম্বরে বিজয় অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশকে আবারও গড়ে তুলেছিলেন। একদিকে প্রায় শূন্য ব্যাংক রিজার্ভ, অন্যদিকে ভাঙাচোরা রাস্তা-ব্রিজ-কালভার্ট-বাড়িঘর। সেই পরিস্থিতিতে তরুণদের, মুক্তিযোদ্ধাদের কাজে লাগিয়ে বঙ্গবন্ধু সবকিছু পুনর্গঠন করেছিলেন। চালু করে ফেলেছিলেন কলকারখানাগুলো। আন্তর্জাতিক মহলের প্রায় সব বড় ফোরামে নতুন রাষ্ট্রকে যুক্ত করেছিলেন তিনি। জাতিসংঘ, ওআইসি, কমনওয়েলথ- সবাই বাংলাদেশকে সাদরে গ্রহণ করেছিল এই মহান নেতার ক্যারিশমায়। তিনি যখনই সব প্রতিকূল পরিবেশ অতিক্রম করে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন, দেশের প্রবৃদ্ধির হার তখন ১১ শতাংশের ওপরে, ঠিক তখনই পুরনো শত্রুরা এক হলো, প্রতিশোধ নিতে চাইল একাত্তরের পরাজয়ের। একাত্তরের পরাজিত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তি ঘাতকদের সাহস দিল, পালানোর পথ করে দিল, বাংলাদেশ স্বৈরাচারের কবলে পতিত হলো।’

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘জাতির পিতার মৃত্যুর পর ধ্বংস হয়ে গেল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন। শুধু জনরোষের ভয়েই দেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে কট্টর ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করতে পারল না উগ্রবাদীরা।’

প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, সেই ৩২ নম্বরের বাড়িতে ভোরের (ফজরের) আজানের কিছু আগেই হামলা করেছিল বর্বর ঘাতকরা। বাংলার স্বাধীনতার অন্যতম প্রতীক ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ভেসে গেল রক্তে। বাংলার মানুষকে ভালোবাসার নির্মম প্রতিদান দিল মোশতাক-জিয়া এবং দলছুট মেজরদের খুনি চক্র। আজ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সব শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর