বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

রংপুরে স্বাস্থ্য খাতে আলোর ঝলকানি

রমেকে নির্মাণাধীন ১৭ তলা ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগ ইউনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুরে স্বাস্থ্য খাতে আলোর ঝলকানি

রংপুরের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল এখানে ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগের জন্য আলাদা একটি হাসপাতাল করা হোক। এ অঞ্চলের মানুষের লালিত স্বপ্ন পূরণে এবার রংপুরে নির্মাণ করা হচ্ছে বিশ্বমানের ৪৬০ শয্যাবিশিষ্ট সমন্বিত ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগ ইউনিট। দুটি বেজমেন্টসহ ১৭ তলা এই ইউনিট হবে বিশ্বমানের। এটি চালু হলে রংপুরের মানুষ স্বাস্থ্য খাতে যুগান্তকারী সুযোগ-সুবিধা পাবেন। চিকিৎসার জন্য ছুটতে হবে না ভারত কিংবা ঢাকায়। এই প্রকল্পটি ২৪ মাস সময়সীমা নির্ধারণ করে কার্যাদেশ দেওয়া হয় ২০২১ সালের ৩০ মে। তবে এর কাজ শুরু হয় বেশ কিছুদিন পরে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর নাগাদ এর কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। রংপুর গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসে ১ একর ৩৭ শতক জমির ওপর অত্যাধুনিক এই ইউনিটের নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। স্থাপত্য অধিদফতরের নকশার আলোকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এটি বাস্তবায়ন করছে। ভবনের দুটি ভূগর্ভস্থ এবং ১৫ তলাসহ ১৭ তলা এই  ইউনিটে ক্যান্সারের জন্য ১৮০টি, কিডনির জন্য ১৬৫ এবং হৃদরোগের জন্য ১১৫টি শয্যা রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ৯২ কোটি ৭৩ লাখ ৪৯ হাজার ৫৩৬ টাকা। ২০২২ সালে ৯ জানুয়ারি এই সমন্বিত ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগ ইউনিট ভার্চুয়ালি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথমে এটি ১০০ শয্যার অনুমোদিত হলেও পরবর্তীতে ৪৬০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। জানা গেছে, রমেক হাসপাতালে হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য আলাদা ওয়ার্ড থাকলেও অব্যবস্থাপনাসহ নানা কারণে রোগীরা প্রত্যাশিত সেবা পাচ্ছেন না। এ ছাড়া ক্যান্সার ও কিডনি রোগের পর্যাপ্ত চিকিৎসা নেই রমেক হাসপাতালে।

 বিশেষ করে গরিব মানুষরা এখানে অসহায়। রমেক হাসপাতাল ১ হাজার বেডের হলেও এখানে প্রতিদিন ২ থেকে আড়াই হাজার রোগী চিকিৎসা নেন। পর্যাপ্ত জনবলসহ নানা কারণে রোগীরা ঠিকমতো স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না। গণপূর্ত অধিদফতর রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান খন্দকার জানান, ৪৬০ শয্যাবিশিষ্ট ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগ ইউনিট প্রকল্পের কাজটি গণপূর্ত বাস্তবায়ন করছে। নির্মাণকাজ এখনো চলমান। ইতোমধ্যেই ৪০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী বছরের ডিসেম্বর নাগাদ এর কাজ শেষ হতে পারে। রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. বিমল চন্দ্র রায় বলেন, রংপুরে নির্মাণাধীন ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগ ইউনিটটি হবে বিশ্বমানের। এটি আপাতত রমেক হাসপাতালের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর