বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল ঢাকা মেডিকেলের ছাত্রীর লাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে চেয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী জয়া কুন্ড। কিন্তু তার সেই স্বপ্নে বাধা হয়ে দাঁড়ায় হতাশা। আর সেখান থেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন এ শিক্ষার্থী। গতকাল বেলা পৌনে ১১টার দিকে ডা. আলিম চৌধুরী ছাত্রী নিবাসের তৃতীয় তলার ৪৫ নম্বর রুমে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় জয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি এমবিবিএস পঞ্চম বর্ষের কে-৭৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। জয়া কুন্ডর বড় ভাই পার্থ কুন্ড বলেন, আমার বোন বেশ কিছুদিন যাবৎ ডিপ্রেশনে (হতাশা) ভুগছিলেন। তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে কাউন্সিলিংও করানো হয়েছিল। আমি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র। সকালে খবর পেলাম আমার বোন আত্মহত্যা করেছে। পরে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পড়ালেখা শেষ করে চিকিৎসক হয়ে জনগণের সেবা করতে চেয়েছিল আমার বোন। কিন্তু তার সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। আমার বোন অনেক মেধাবী ছাত্রী ছিল। সে বুয়েট ও ঢাকা ইউনিভার্সিটিতেও ভর্তির সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু তার স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হবে, তাই সে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়। মৃত জয়া কুন্ড খুলনা ল্যাবরেটরি হাই স্কুল থেকে এসএসসি ও খুলনা বিএল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তার বাড়ি খুলনার খান জাহান আলী থানার ফুলবাড়ি কুয়েত রোড এলাকায়।

জয়ার রুমমেট পৃথুলা রায় বলেন, আমি, লাবণী ও জয়া কুন্ড ডা. আলিম চৌধুরী হলের তৃতীয় তলার ৪৫ নম্বর রুমে থাকতাম। সকালে লাবণী হল থেকে বের হয়ে যান। এরপর সকাল ১০টার দিকে জয়াকে রুমে রেখে আমিও বের হয়ে যাই। পরে জানতে পারি- জয়া আত্মহত্যা করেছে। জয়া অনেক দিন থেকে ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন কিন্তু কি কারণে ডিপ্রেশন, সে বিষয়টি আমরা জানতে পারিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রুমমেট লাবণী রায় লাবুকে ‘আই লাভ ইউ লাবু’ লিখে একটি মেসেজ দেয়। একই সময় তার মাকেও একটি মেসেজ দেয় জয়া। পরে তার রুমমেটের সন্দেহ হলে দ্রুত রুমে গিয়ে দেখে- ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে জয়া।

এ বিষয়ে শাহবাগ থানার এসআই এস এম এলিস মাহমুদ বলেন, কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর