শুক্রবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে থামছেই না ডেঙ্গু, শক সিন্ড্রোমে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে থামছেই না ডেঙ্গুর ছোবল। প্রতিদিনই রুটিন করে আক্রান্ত করছে এডিস মশা। হচ্ছে মৃত্যু। বয়স্কদের সঙ্গে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও বাড়ছে। ফলে সবার মধ্যে একটা নীরব শঙ্কা ভর করেছে। কাটছে না ডেঙ্গু আতঙ্ক। বিশেষ করে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে শিশুরা শক সিন্ড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল চট্টগ্রামে নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় ৮৪ জন। বুধবার আক্রান্ত হয় ৯১, গত মঙ্গলবার আক্রান্ত হয় ৫৯, গত সোমবার আক্রান্ত হয় ৯২, গত রবিবার আক্রান্ত হয় ১১০ ও শনিবার আক্রান্ত হয় ৯২ জন। তাছাড়া, ইতোমধ্যে অন্তত দুজন শিশু শক সিন্ড্রোমে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় এবং হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অন্তত ১০ জনকে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মামুনুর রশীদ বলেন, এ বছর একযোগে ১২৬টি দেশে ডেঙ্গুর সংক্রমণ চলছে। দেশে ২০১৯ সাল থেকেই ডেঙ্গু সংক্রমণের হার বাড়ছে। কারণ বায়ুর আর্দ্রতা ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হলো এডিস মশা ডিম পাড়ার অনুকূল পরিবেশ। এ বছর এমন আবহাওয়াই ছিল। এ বছর ডেঙ্গু বেশি হওয়ার এটিও একটি কারণ। তিনি বলেন, একটি সিঙ্গেল এডিস মশাই পুরো পরিবারকে আক্রান্ত করার জন্য যথেষ্ট। কারণ একটি এডিস মশা দৈনিক ৭০০-৮০০ ডিম পাড়ে। বাঁচে সাত থেকে আট দিন। সে অতি দ্রুত বংশবিস্তার করে। এডিস মশা ডিম দিলে সে ডিমেও ডেঙ্গুর ভাইরাস থাকে। ফলে তা দ্রুত ছড়াচ্ছে।  চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, প্রতিদিনই নতুন করে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সঙ্গে মৃত্যুও আছে। তাই ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই রাত-দিন সব সময়ই মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হবে। একই সঙ্গে বাড়ির আঙিনা কোনোমতেই অপরিষ্কার রাখা যাবে না। জমাট পানি কিংবা অপরিষ্কার জায়গায় এডিস মশা বেশি জন্মায়। জানা যায়, চলতি বছর মোট ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয় ৪ হাজার ৩৭৮ জন। এ মধ্যে মহানগরে ৩ হাজার ৩২ জন ও ১৫ উপজেলায় ১ হাজার ৩৪৭ জন। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ১ হাজার ৯৯৫, মহিলা ১ হাজার ২৪৫ ও শিশু ১ হাজার ১৩৯ জন। চলতি বছর মোট মারা যান ৩৯ জন। এর মধ্যে পরুষ ১১, মহিলা ১৩ ও শিশু ১৫ জন।

অন্যদিকে চলতি বছর জানুয়ারিতে আক্রান্ত হয় ৭৭, ফেব্রুয়ারিতে ২২, মার্চে ১২, এপ্রিলে ১৮, মে মাসে ৫৩, জুনে ২৮৩, জুলাই মাসে ২ হাজার ৩১১ জন ও চলতি আগস্টের গতকাল পর্যন্ত ১ হাজার ৬০৩ জন আক্রান্ত হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর