শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

চসিকে চাকরি স্থায়ীকরণ না হওয়ায় অসন্তোষ বাড়ছে

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চসিকে চাকরি স্থায়ীকরণ না হওয়ায় অসন্তোষ বাড়ছে

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) স্বাস্থ্য বিভাগের ফার্মাসিস্ট পদে ১৯৯৫ সালে যোগ দেন ১৫ জন। তারা অস্থায়ী হিসেবেই চাকরি করে আসছেন প্রায় ২৯ বছর। একইভাবে চসিকের  ওয়ার্ড সচিব পদে অস্থায়ী কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৯৬ সালে যোগ দিয়েছিলেন কয়েকজন। তারাও   অস্থায়ী হিসেবে চাকরির প্রায় ২৮ বছর পার করলেও এখনো অস্থায়ী। 

এভাবে অন্তত দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অস্থায়ী পদে যোগ দিয়ে চাকরি জীবন প্রায় শেষ করে আসছেন। আগামী দু-তিন বছর পর তারা অবসরে যাবেন। ফলে তারা অস্থায়ী হিসেবেই অবসরে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া অস্থায়ী আছেন ৬ হাজার ৩৩ জন। অন্যদিকে, করোনাকালীন জরুরি পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে স্বাস্থ্য সহকারী পদে অস্থায়ী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় আরও ৭-৮ হাজার। এ অবস্থায় অসন্তোষ দানা বাঁধছে অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চসিকের অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে চলেছেন দীর্ঘদিন ধরে। তবে চসিক এ সমস্যা সমাধানে ‘স্থায়ীকরণে পরামর্শক কমিটি’ এবং ‘যাচাই-বাচাই কমিটি’ নামে দুটি কমিটি গঠন করেছে।

চসিক সূত্রে জানা যায়, স্থায়ীকরণের সময় বৃদ্ধির জন্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ছাড়পত্রের মেয়াদ গত ৩০ জুন শেষ হয়। গত ৩১ জুলাই মন্ত্রণালয় থেকে স্থায়ীকরণের সময় বৃদ্ধির চিঠি পাঠানো হয়। এ নিয়ে চসিক গত ১ আগস্ট বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করে। বৈঠকে আগামী এক মাসের মধ্যে স্থায়ীকরণের বিষয়টি সমাধান করার সিদ্ধান্ত হয়। এরই মধ্যে চসিক কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদ স্থায়ীকরণসহ ১০ দফা দাবিতে গত ২৩ জুলাই গণস্বাক্ষর সংবলিত লিফলেট মেয়রকে হস্তান্তর করে। 

অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদের সদস্য সচিব সাজু মহাজন বলেন, ১৯৯৫ সালে অস্থায়ী হিসেবে যোগ দিয়ে এখনো অস্থায়ী আছেন। চাকরি জীবনের ২৮টি বছর পার হলেও তারা স্থায়ী হননি। এটা দুঃখজনক। আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে এমন দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অবসরে যাবেন। আমরা চাই, স্থায়ী হিসেবে সম্মানের সঙ্গে তারা অবসর গ্রহণ করুক। একই সঙ্গে যারা অস্থায়ী আছেন তাদেরও বিধি মোতাবেক স্থায়ী করা হোক।

চসিক স্থায়ীকরণ যাচাই-বাচাই কমিটির আহ্বায়ক প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন  বলেন, চসিকের জনবল কাঠামো অনুসরণ করে নিয়ম মতে অস্থায়ীদের স্থায়ী করা দরকার। কারণ তারা  দীর্ঘদিন নগরবাসীর সেবা দিয়ে আসছেন। চাকরি জীবন শেষ করে অস্থায়ী হিসেবে অবসরে   যাওয়াটা কেবল তাদের নয়, আমাদের কাছেও অসম্মানজনক বলে মনে হয়। তাই আমরা কাউন্সিলররা বিভিন্ন সময় সাধারণ সভায় স্থায়ীকরণের পক্ষে মতামত দিয়ে আসছি। 

জানা যায়, চসিকে বর্তমানে অনুমোদিত জনবল কাঠামো অনুযায়ী পদ আছে ৪ হাজার ২২৬টি। কিন্তু বর্তমানে কর্মরত আছেন ৮ হাজার ৮০৩ জন। এর মধ্যে স্থায়ী ২ হাজার ৭৭০ জন এবং অস্থায়ী ৬ হাজার ৩৩ জন। অনুমোদিত জনবল কাঠামোর বিপরীতে বর্তমানে শূন্য পদ আছে ১ হাজার ৪৫৭টি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর