শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

অবশেষে রোটেশন প্রথা চালু বরিশাল-ঢাকা নৌপথে

যাত্রী আকর্ষণে নেওয়া হবে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার কম

রাহাত খান, বরিশাল

বরিশাল-ঢাকা রুটের লঞ্চ ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে অবশেষে চালু হচ্ছে রোটেশন প্রথা। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর অব্যাহত লোকসানের মুখে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে লঞ্চ মালিকরা। আজ শনিবার শুরু হবে নতুন পদ্ধতি। নতুন সূচি অনুযায়ী এখন থেকে প্রতিদিন রাতে দুটি লঞ্চ ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে ছাড়বে এবং বরিশাল থেকে দুটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। যাত্রী আকর্ষণ করতে সরকার নির্ধারিত ভাড়াও কমিয়েছেন মালিকরা। লঞ্চ মালিক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, নতুন সূচি টিকে থাকার লড়াই।

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর নৌ পথে যাত্রী খরা দেখা দেয়। দুই ঈদসহ বিশেষ উৎসবে প্রত্যাশিত যাত্রী পেলেও অন্য সময় লোকসান দিতে দিতে ক্লান্ত লঞ্চ মালিকরা। অব্যাহত লোকসানের মুখে এ রুটের কীর্তনখোলা গ্রুপের দুটি, অ্যাডভেঞ্চার গ্রুপের একটি, পারাবত কোম্পানির দুটি, সুরভী গ্রুপের একটি, সুন্দরবন গ্রুপের দুটি এবং এমভি কুয়াকাটা-২ লঞ্চ ইতোমধ্যে সার্ভিস বন্ধ রেখেছে। বাকি ১০টি লঞ্চ দুই প্রান্ত থেকে চলাচল করলেও যাত্রী সংকটে লোকসান কাটাতে পারছিল না তারা। এ অবস্থায় ছয়টি নেভিগেশন কোম্পানির মালিকরা বৃহস্পতিবার ঢাকার সদরঘাটে এক সভা করেন। সভায় লোকসান কাটাতে বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটে রোটেশন প্রথা চালুর বিষয়ে ঐক্যমত হন। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ থেকে নতুন সূচি অনুযায়ী প্রতিদিন রাতে ঢাকা থেকে দুটি লঞ্চ বরিশালের উদ্দেশে এবং দুটি লঞ্চ বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। সে হিসাবে প্রতি চার দিন পর একটি লঞ্চ রুটে যাত্রী বহনের সুযোগ পাবে। নৌ পথে ফের যাত্রী আকর্ষণ করতে সরকার নির্ধারিত ৪০৯ টাকার ডেক যাত্রী ভাড়া ৩০০ টাকা, ১ হাজার ৭০০ টাকার সিঙ্গেল কেবিন ১ হাজার টাকা এবং ৩ হাজার ৪০০ টাকার ডাবল কেবিন ২ হাজার টাকা করার বিষয়েও মালিকরা ঐক্যমত হন। পারাবত লঞ্চ কোম্পানির সুপারভাইজার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ঈদের কয়েকদিন ছাড়া প্রতি ট্রিপে লোকসান আর লোকসান। যাত্রীর খরা থাকায় কোনো লঞ্চে জ্বালানি তেলের খরচও উঠছিল না। এ অবস্থায় রোটেশন ছাড়া বরিশাল-ঢাকা নৌ সার্ভিস টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। লঞ্চ মালিক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মো. সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, বর্তমানে যারা লোকসান দিয়েও রুটে টিকে আছে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এখন থেকে দুটি করে লঞ্চ চালাবেন। নতুন পদ্ধতিতে বরিশাল-ঢাকা রুটের সার্ভিস টিকে থাকতে পারবে কি না কয়েক দিনেই বোঝা যাবে। এতেও লোকসান হলে প্রতিদিন উভয় প্রান্ত থেকে একটি করে লঞ্চ চালাবেন মালিকরা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর