শিরোনাম
রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী স্মরণে জাতীয় জাদুঘর

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী স্মরণে জাতীয় জাদুঘর

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গতকাল ‘আগস্ট হত্যাকাণ্ড : বর্তমানের দায়’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয় জাদুঘর। কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় জাদুঘর পর্ষদ সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল। প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, গবেষক এবং রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মাদ আলী শিকদার। শেষে শোকের গান পরিবেশন করেন শিল্পী ড. অনিমা রায়। মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট। বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের সদস্য এবং সহযোগীদের হত্যার খবরে হতবাক সারা বিশ্ব। একটি জাতির জন্য এর চেয়ে বড় কলঙ্কজনক, অসম্মানজনক আর কিছু হতে পারে না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে এই জাতি যে পাপ করেছে তা থেকে কোনো দিন মুক্তি নেই। এই পাপ অমোচনীয়। ১৯৭৫ সালে এ দেশে যা হয়েছে তা ক্ষমতা দখলের সংকীর্ণ লক্ষ্য অর্জনের চেয়েও অনেক বেশি কিছু ছিল। শুধু একজন রাষ্ট্রপ্রধানকে নয়, নারী-শিশুসহ তাঁর পরিবারের সব সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে।

এ হত্যাকাণ্ডের পর খুনিরা শুধু রাষ্ট্রক্ষমতায়ই বসেনি, আইন করে হত্যার বিচার বন্ধ করেছে। ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সময় এবং ঘটনার আগে ও পরে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের ভূমিকা এবং হত্যাকাণ্ডের সুবিধাভোগীদের দিকে তাকালে দেখা যাবে এই ষড়যন্ত্রের সুতো কতটা বিস্তৃত ছিল। আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার কোনো বিশেষ আইন নয়, দেশের প্রচলিত আইনেই বিচারটি হয়েছে। কিন্তু বিচার হয়েছে খুনের এবং খুনিদের, হত্যার ও ষড়যন্ত্রের বিচার এখনো বাকি।

বর্তমানে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে দুটি : এই নেপথ্য কুশীলবদের চিহ্নিত করে তাদের দায় নিরূপণ করা। দ্বিতীয়ত, বাঙালি জাতীয়তাবাদভিত্তিক, অসাম্প্রদায়িক, স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং এ রাষ্ট্রটিকে গণতন্ত্র ও ন্যায্যতাভিত্তিক একটি ধারায় এগিয়ে নিতে রাষ্ট্রব্যবস্থার পুনর্গঠনের প্রয়াসে বঙ্গবন্ধুর দার্শনিক ধারাটি অব্যাহত রাখা। এই দায়িত্ব ইতিহাস অর্পিত। ইতিহাসের সত্য বড়ই নির্মম ও শক্তিশালী। কোনো কারণে সেই সত্যকে হয়তো কিছু সময় চাপা দিয়ে রাখা যায়, কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, সেই সত্য কোনো না কোনো সময় উচ্চকণ্ঠেই কথা বলে। এই দায় এড়িয়ে গেলে ভবিষ্যৎ আমাদের ক্ষমা করবে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর