মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

পানিপ্রবাহে বাধা ১২৩ পাইপ

জলাবদ্ধতার খড়গ ১

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

পানিপ্রবাহে বাধা ১২৩ পাইপ

চট্টগ্রাম নগরজুড়ে আছে সেবা সংস্থাগুলোর সংযোগ লাইন। এর মধ্যে অধিকাংশ পাইপ লাইনই দেওয়া হয়েছে ব্রিজ-কালভার্টের নিচ দিয়ে। এসব পাইপ লাইনের সঙ্গে আটকে থাকে নানা ধরনের বর্জ্য। ফলে পানিপ্রবাহে বাধাগ্রস্ত হয়। চলমান মেগা প্রকল্প কর্তৃপক্ষ নগরের তিনটি সেবা সংস্থার ১২৩টি ব্রিজ-কালভার্টের নিচে এমন পাইপ লাইন চিহ্নিত করে। প্রকল্প কর্তৃপক্ষ এগুলো অপসারণে চিঠি দিলেও কোনো সংস্থাই সরায়নি। এ নিয়ে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ ২৩ ফেব্রুয়ারি সংস্থাগুলো চিঠি দেয়।

এ ছাড়া সোমবার অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায়ও সেবা সংস্থাগুলোর পাইপ লাইনের বিষয়টি জোরালোভাবে আলোচনা হয়। সমালোচনা করা হয় সংযোগ পাইপগুলো না সরানোয়।

৬ থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত প্রবল বর্ষণে তলিয়ে যায় নগরের অধিকাংশ এলাকা। অনেক এলাকায় পানি ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। জানা যায়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক মেগা প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সেনাবাহিনী। প্রকল্প কর্তৃপক্ষ নগরের ৪১ ওয়ার্ডে তিন সেবা সংস্থার ১২৩টি ব্রিজ-কালভার্টের নিচে সরবরাহ পাইপ লাইনের সঙ্গে আবর্জনা আটকে যাওয়ার দৃশ্য চিহ্নিত করে। এর মধ্যে ওয়াসার পাইপ লাইন যায় ৫৯টি ব্রিজ-কালভার্ট দিয়ে, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) সরবরাহ লাইন যায় ৪৪টি ব্রিজ-কালভার্ট দিয়ে এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের সংযোগ লাইন যায় ২০টি দিয়ে। চলতি বর্ষা মৌসুমের আগেই পাইপ লাইনগুলো সরাতে চিঠি দেওয়া হয়। অন্যথায় বর্ষায় জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। মেগা প্রকল্পের পরিচালক লে. কর্নেল মো. শাহ্ আলী বলেন, ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনটি সেবা সংস্থাকে ব্রিজ-কালভার্টের নিচে থাকা সংযোগ পাইপগুলো অপসারণে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে বর্ষার আগেই কাজটি বাস্তবায়নের তাগাদা দেওয়া হয়। কিন্তু তারা কেউ এগুলো অপসারণ করেনি। ফলে এখন ব্রিজ-কালভার্টগুলোর নিচ দিয়ে পানিপ্রবাহে বিলম্ব হচ্ছে। কোথাও কোথাও বাধাগ্রস্তও হচ্ছে। এ কারণে জলাবদ্ধতাও প্রকট আকার ধারণ করছে।

চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোবারক আলী বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে সেবা সংস্থাগুলোরও দায়িত্ব আছে। তারা সমন্বয় না করলে প্রকল্পের সুফল আসবে না। তাই নগরে বিদ্যমান সবগুলো সেবা সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনে একযোগে কাজ করতে হবে।

কেজিডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এ ধরনের কোনো চিঠি পাইনি। সাধারণত এমন কোনো চিঠি পেলে আমরা জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করি। আমি খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর