মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা
তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ

পল্লবীতে ছাদ থেকে পড়ে তরুণীর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএসের একটি ভবন থেকে পড়ে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া এক তরুণীর মৃত্যু হয়। এরপর পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তার বাবা। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, তার মেয়ে একটি অপরাধের শিকার হয়েছিলেন। থানায় মামলা করার পর তদন্ত কর্মকর্তার ‘উৎপাতে’ সে আত্মহত্যা করেছে।  জানা গেছে, আফরোজা আক্তার মিমি (২১) নামে ওই তরুণী মিরপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ডিপ্লোমা প্রকৌশলে পড়ছিলেন। তার বাবা আফসারউদ্দীন জানান, তার মেয়ে এক ব্যক্তির প্রতারণার শিকার হয়ে গর্ভপাতে বাধ্য হন। এরপর পল্লবী থানায় ধর্ষণ ও ভ্রুণ হত্যার অভিযোগে মামলা করেন। তিনি বলেন, ‘সেই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিভিন্ন সময় ফোন করে টাকা চাইত। আমার মেয়েকে ফোন করে তার সঙ্গে অন্য পুরুষদের জড়িয়ে চার্জশিট দেওয়ার ভয় দেখাত। এসব কারণেই মেয়েটা গত রবিবার ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছে।’

পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেজবাহ উদ্দীন বলেন, মেয়েটি ছাদ থেকে দুর্ঘটনাবশত পড়ে মারা যেতে পারে। তখন সেখানে ১৩-১৪ বছরের একটি মেয়ে ছিল, যে অন্য বাসার গৃহকর্মী। এ ছাড়া সিসি ক্যামেরাতেও বিষয়টি ধরা পড়েছে।

গতকাল সকালে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে মিমির বাবা মো. আফসারউদ্দীন বলেন, ‘আমরা আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করতে চাই। কিন্তু পুলিশ চাপ দিচ্ছে অপমৃত্যু মামলা করার জন্য। রবিবার দুপুরে মারা গেছে আমার মেয়ে, মর্গে সুরতহালের কাগজ পুলিশ না পাঠানোয় তখনো লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়নি।’ 

আফসারউদ্দীন জানান, গত বছর মেহেদি হাসান জনি নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার মেয়ের পরিচয় হয়। জনি ‘নায়িকা’ বানানোর লোভ দেখিয়ে ওর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে ডিওএইচএস এলাকাতেই ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকতে শুরু করেন। তিনি বলেন, মিমি ও জনির বিয়ে হয়নি, কেবল এফিডেফিট করেছিলেন তারা। চলতি বছর তার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হলে জনি তাকে ‘গর্ভপাত ঘটাতে বাধ্য করেন’। এরপর মিমি অসুস্থ হয়ে পড়লে গত মে মাসে তাকে বাসায় নিয়ে যান তিনি। পল্লবী থানায় ধর্ষণ ও ভ্রুণ হত্যার অভিযোগে মামলা করেন। মামলা করার পর পুলিশ জনিকে গ্রেফতার করে। ১৭-১৮ দিন পর জামিনে বের হয়ে জনি আবারও ‘উৎপাত’ শুরু করে। এর মধ্যেই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার এসআই মোবারক আলী টাকা চাওয়া শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকা দিতে রাজি হই আমরা। তিন কিস্তিতে ৩২ হাজার টাকা পরিশোধও করি। তবুও এসআই মোবারক বিভিন্ন সময় আমার মেয়েকে ফোন করে টাকা না দিলে খারাপ রিপোর্ট দেওয়ার হুমকি দিত।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর