রংপুরে হরিজনদের সঙ্গে সিটি করপোরেশন কর্মচারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল দুপুরে সিটি করপোরেশনের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩৫ জন আহত হন। সিটি করপোরেশন প্রাঙ্গণে হামলার ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে সিটি করপোরেশন। এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিকালে হরিজন অধিকার আদায় সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়। হরিজন অধিকার আদায় সংগঠনের সভাপতি সুরেশ বাসফোর বলেন, ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সিটি করপোরেশনের মেয়রের সঙ্গে কথা বলতে গেলে গুন্ডা বাহিনী দিয়ে আমাদের ওপর হামলা করানো হয়। রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, এরই মধ্যে তাদের সব যৌক্তিক দাবি প্রায় পূরণ করা হয়েছে। মাত্র দুই ঘণ্টা পরিচ্ছন্নতার কাজ থাকলেও তারা সেটিও ভালোভাবে করে না। রাতে মাতাল হয়ে পড়ে থাকে। অথচ তাদের সুখে-দুঃখে আমি পাশে থাকলেও কুচক্রী মহলের ইন্ধনে তারা সিটি করপোরেশনের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। এদিকে গতকাল বিকালে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে হরিজন অধিকার আদায় সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ১১ দফা দাবি আদায়ের পাশাপাশি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা করে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ওসি মাহফুজার রহমান বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।