মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

অবৈধ নিয়োগ, যবিপ্রবি সাবেক উপাচার্য উপ-উপাচার্যের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আসামিরা হলেন- যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. আবদুর রউফ, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবদুস সাত্তার এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন। গতকাল দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক আল-আমিন। দুদক বলছে, আবদুস সাত্তার ও কামাল উদ্দিন পরস্পর যোগসাজশে আবদুর রউফের কাছ থেকে অবৈধভাবে লাভবান হয়ে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগ দেন। এতে ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে গত বছরের জুন পর্যন্ত বেতনভাতা বাবদ সর্বমোট ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা সরকারি কোষাগার থেকে উত্তোলন কিংবা আত্মসাৎ করার সুযোগ করে দিয়ে সরকারের ক্ষতিসাধন করেছেন।  মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে ২০০৮ সালের ২২ অক্টোবর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) অনুকূলে প্রাথমিকভাবে ১০৮ জন জনবলের মঞ্জুরীসহ বেতন বরাদ্দ প্রদান করা হয়। এর মধ্যে সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) পদের মঞ্জুরী ছিল না। তৎকালীন উপাচার্য ড. আর আই সরকারের স্বাক্ষরে ২০০৮ সালের ১৬ নভেম্বর নিয়োগ নীতিমালার শর্ত অনুযায়ী সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে একজনসহ বিভিন্ন পদের একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। উপাচার্যের বদলির কারণে বিজ্ঞাপিত সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সে সময় বাস্তবায়ন করা হয়নি। পরবর্তী উপাচার্য ড. মো. আবদুস সাত্তার যোগদান করার পর প্রথম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৫ মাস পর পুনরায় তার স্বাক্ষরে ২০০৯ সালের ২৩ এপ্রিল সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে একজনসহ বিভিন্ন পদের একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদের তৎকালীন বেতন স্কেল : ৯০০০-১৫৪৮০ [বেতন স্কেলের ষষ্ঠ গ্রেড] এবং আবেদনের বয়স সর্বোচ্চ ৩৫ বছর। উক্ত বিজ্ঞপ্তি দুটির পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত আবদুর রউফসহ ২০ জন প্রার্থী সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে আবেদন করেন। আবেদন করার সময় আবদুর রউফের বয়স ছিল ৩১ বছর ৭ মাস ২১ দিন। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে চারজন প্রার্থীর অনুকূলে মৌখিক পরীক্ষার কার্ড ইস্যু করা হয়। নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সংবিধি অনুযায়ী গঠিত তিন সদস্যবিশিষ্ট বাছাই বোর্ডে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন আবদুস সাত্তার। এ ছাড়াও বাছাই বোর্ডে সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি খালেদুর রহমান টিটো (বর্তমানে মৃত) এবং বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন। বিজ্ঞপ্তির শর্তানুযায়ী আবদুর রউফের কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও বাছাই বোর্ড তাকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে। এরপর সেকশন অফিসার গ্রেড-১ (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদটি বিজ্ঞাপিত না হওয়া সত্ত্বেও অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকায় আবদুর রউফকে ওই পদে নিয়োগের জন্য রিজেন্ট বোর্ড সিদ্ধান্ত প্রদান করে।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর