বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

জুয়েলারি শিল্পের সবচেয়ে বড় বাধা স্বর্ণ চোরাচালান

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুয়েলারি শিল্পের সবচেয়ে বড় বাধা স্বর্ণ চোরাচালান

জুয়েলারি শিল্পের বিকাশ নিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে অতিথিরা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

দেশের বৈদেশিক আয়ের সিংহভাগই আসে তৈরি পোশাক রপ্তানি ও অভিবাসী কর্মীদের পাঠানো রেমিট্যান্স থেকে। দেশের জুয়েলারি শিল্পে অমিত সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। এতে অনুমান করা যায় সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে জুয়েলারি শিল্পও তৈরি পোশাক রপ্তানির মতো বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা মিটিয়ে জুয়েলারি শিল্প একদিন বিশ্ববাজারে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করবে। বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্প তথা স্বর্ণ ব্যবসায়ের সবচেয়ে বড় ক্ষত হচ্ছে চোরাচালান। স্বর্ণ চোরাচালান স্বর্ণ ব্যবসার জন্য একটি কালো দাগ। জুয়েলারি শিল্পের অগ্রগতিতে সবচেয়ে বড় বাধা স্বর্ণ চোরাচালান। এ কারণে সরকার একদিকে যেমন বিপুল রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে বৈধ ব্যবসায়ীরা স্বর্ণ তথা জুয়েলারি ব্যবসা চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। প্রকৃত জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত নয়। এটা বন্ধে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে আরও কঠোর নজরদারি করতে হবে। আইনি দুর্বলতায় স্বর্ণ চোরাচালানসংক্রান্ত মামলার বিচার দীর্ঘায়িত হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই বিমানবন্দরে স্বর্ণের ছোট-বড় চোরাচালান জব্দ হচ্ছে। এতে কিছু অবৈধ স্বর্ণের ক্যারিয়ার ধরা পড়লেও নেপথ্যের হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। এরা সব সময়ই ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এদের বেশির ভাগই সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও দুবাই থেকে স্বর্ণ চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করে।

গতকাল জুয়েলারি শিল্পের বিকাশ নিয়ে আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন দলকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। কারওয়ান বাজারে এটিএন বাংলার প্রধান কার্যালয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান।

ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ, বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) সাবেক সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়, এটিএন বাংলার সিনিয়র উপদেষ্টা নওয়াজীশ আলী খান, অধ্যাপক ড. আবু সৈয়দ মো. আজিজুল ইসলাম ও এটিএন বাংলার উপদেষ্টা তাশিক আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। এ সময় চ্যাম্পিয়ন দল ঢাকা কলেজের বিতার্কিকদের ট্রফি তুলে দেওয়া হয়।

ড. মাহফুজুর রহমান বলেন, জুয়েলারি শিল্পের বিকাশে কর সুবিধা দেওয়া উচিত। বাংলাদেশ যাতে কোনোভাবে স্বর্ণ চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহার না হয় সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে সব ছোট-বড় জুয়েলারিকে এক ছাতার নিচে আনার প্রচেষ্টা এ শিল্পের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশের বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে গোল্ড রিফাইনারি। একই সঙ্গে দেশে প্রথমবারের মতো স্থাপন হতে যাচ্ছে বিশ্বমানের জুয়েলারি পার্ক। যার মাধ্যমে মেড ইন বাংলাদেশ লেখা সোনার বার বিশ্ববাজারে রপ্তানি করা সম্ভব হবে। তিনি এ সময় জুয়েলারি শিল্পের বিকাশে ১০ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর