বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

একুশে আগস্টে হামলা করায় তারেক সাজায় ‘জজ মিয়া’ নাটক : জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

একুশে আগস্টে হামলা করায় তারেক সাজায় ‘জজ মিয়া’ নাটক : জয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তাঁর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। ওই হামলায় আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতা-কর্মীর মৃত্যু হয়। অল্পের জন্য বেঁচে যান শেখ হাসিনা। তবে কানে আঘাত পান তিনি। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এমন ভয়াবহ হামলার ঘটনা ধামাচাপা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে সাজানো হয় ‘জজ মিয়’ নাটক। হামলার জন্য তাকে দায়ী করে কারারুদ্ধ করে বিএনপি-জামায়াত সরকার। ২১ আগস্ট টুইটারে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে জয় বলেছেন, কীভাবে তারেক রহমান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার জন্য জঙ্গিদের ভাড়া করে এবং পরে জজ মিয়া নামে একজন যুবককে সাজানো মামলায় ফাঁসায়? ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা, জঙ্গি এবং ব্যবসায়ীসহ তার আস্থাভাজনদের নিয়ে তারেক পরিচালিত ক্ষমতার বিকল্প পাওয়ার হাউস হিসেবে হাওয়া ভবন মিডিয়া রিপোর্টে ব্যাপকভাবে উঠে আসে। মামলার রায় অনুসারে, হামলার আগে তারেক জঙ্গিদের সঙ্গে (যারা এখন সাজা ভোগ করছেন) দেখা করেন, তদারকি করেন এবং মূলত শেখ হাসিনার প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হামলার নীলনকশার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন। কিন্তু হামলার পর, তৎকালীন বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন সরকার ঘটনা ধামাচাপা দিতে একটি নাটক মঞ্চস্থ করেছিল যেখানে একজন যুবককে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করে।

পরে সাংবাদিকদের তদন্তের মাধ্যমে উন্মোচিত হয়েছিল যে, জজ মিয়াকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়েছিল, বিস্ফোরণের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক ছিল না।

 পুলিশের দেওয়া অর্থের বিনিময়ে তাকে কারাগারে আটকে রাখা হয়।

ভিডিওটিতে ভয়ংকর জঙ্গি নেতা আবদুল হান্নানের আরেকটি স্বীকারোক্তি রয়েছে, যে হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামির (হুজি) নেতৃত্ব দিয়েছিল, যে এই হামলার জন্য দায়ী ছিল, এতে এই জঙ্গি স্বীকার করেছে যে, শেখ হাসিনাকে নির্মূল করার ষড়যন্ত্রে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা জড়িত রয়েছে। সেই চক্রান্তে বেশ কিছু জঙ্গি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিল যারা আওয়ামী লীগের সমাবেশে মারাত্মক গ্রেনেড হামলায় অংশ নিয়েছিল। এই হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ২৪ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়।

এই ভিডিওটি জজ মিয়ার অগ্নিপরীক্ষার ফ্ল্যাশব্যাক নিয়ে আসে এবং আওয়ামী লীগ এবং প্রগতিশীল শিবিরগুলোকে ধ্বংস করার জন্য জঙ্গিদের প্রতি বিএনপি-জামায়াতের স্পষ্ট পৃষ্ঠপোষকতা প্রমাণ করে।

ভিডিওটিতে সিনিয়র সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকারও রয়েছে যারা তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন সরকারের মঞ্চস্থ নাটকটি উন্মোচন করেছিলেন।

সর্বশেষ খবর