জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন নিয়ে একসময় ভোগান্তির শেষ ছিল না সিলেটে। নির্বাচন অফিসে ঘুরতে হয়েছে দিনের পর দিন। সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে গণশুনানির আয়োজন করার পর থেকে কমেছে ভোগান্তি। সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার নির্বাচন অফিসে অনুষ্ঠিত হয় গণশুনানি। আবেদনকারীরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে এলেই কর্মকর্তারা করে দিচ্ছেন সংশোধনের কাজ। এতে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে আসা জনসাধারণের মধ্যে স্বস্তিবোধ কাজ করছে।

গত মঙ্গলবার নগরীর মেন্দিবাগস্থ সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে পূর্বনিধারিত গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্ধশতাধিক আবেদনকারী। কেউ এসেছেন নিজের নাম সংশোধনে, কারও প্রয়োজন বাবা-মা কিংবা জন্ম তারিখ সংশোধন। নির্বাচন কর্মকর্তাদের সবার সমস্যা শুনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে সংশোধনের পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে। কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের কাজ করাতে পেরে সন্তুষ্ট ছিলেন উপস্থিত সবাই। নগরীর টিলাগড় থেকে আবদুল কাদির নামের পঞ্চাশোর্ধ্ব এক ব্যক্তি এসেছেন তার নাম সংশোধন করতে। পাসপোর্ট নবায়ন করার জন্য তার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের প্রয়োজন পড়েছে। কাগজপত্র দেখে সংশোধনের কাজ করে দেন কর্মকর্তারা। খুশি হয়ে ফিরে যান আবদুল কাদির। সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফয়সল কাদের জানান, গণশুনানির দিন আবেদনকারীকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলা হয়।

এ ছাড়া যেসব নতুন ভোটার অনলাইনে আবেদন করেছেন তারা প্রিন্ট কপির সঙ্গে প্রমাণপত্র নিয়ে এলে আমরা তাকে ভোটার করে জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন কপি দিয়ে দিই। জনসাধারণ যাতে কোনো ধরনের ভোগান্তির শিকার না হন সে জন্য প্রতি মঙ্গলবার এভাবে গণশুনানি করা হয়।