পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, সাংবাদিকদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ওয়েজবোর্ড প্রয়োজন। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের মানিক মিয়া মিলনায়তনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহসভাপতি প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট এম এ কুদ্দুসের স্মরণ সভা ও বাংলাদেশের অর্থনীতি-রাজনীতিতে কার্টুনের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকাস্থ রাজবাড়ী জেলা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী হক। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রিমন রহমান। আলোচনা করেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব আবদুল লতিফ মোল্লা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, প্রয়াত কার্টুনিস্ট এম এ কুদ্দুসের স্ত্রী তানিয়া কুদ্দুস প্রমুখ। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের (সাংবাদিকদের) ওয়েজ বোর্ডের ব্যাপারে মাঝে মাঝে শুনি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট না হওয়ার কারণে আমার গভীর জ্ঞান নেই। তবে এটাও জানি, ওয়েজ বোর্ড ঘোষণা হয় কিন্তু বাস্তবায়ন হয় না। কেউ এটা মানে, কেউ মানে না।
ওয়েজ বোর্ড যেহেতু সবার সঙ্গে আলোচনা করেই হয়েছে, তাহলে মানবে না কেন? না মানার স্কোপ কোথায়? সাংবাদিকতা পেশায় নিরাপত্তার জন্য ওয়েজবোর্ডের প্রয়োজনীয়তা আছে, এটা আমি বুঝতে পারি।’ মন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজেও সরকারি চাকরি করেছি, আমরা যেমন নিরাপত্তা পাই, আপনারা সাংবাদিকরা তেমনটা পান না। আবার কেউ কেউ নানা শর্টকাট উপায়ে অনেক দূর চলে যান। কিন্তু যারা মূল ধারার সাংবাদিকতা করেন তাদের জীবন অনেক ঝড়-ঝাপটার। আমার ছোটবেলার অনেক সাংবাদিক বন্ধুকে দেখেছি ঢাকায় তারা অনেক কষ্ট করেছেন।’
কার্টুনের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, পশ্চিমা জগতে কার্টুনের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। একটি ছবি দিয়ে অনেক শব্দের চেয়েও বেশি কিছু বোঝানো যায়। আর একটা কার্টুন দিয়ে মিলিয়ন শব্দ বোঝানো যায়। সাম্প্রতিক সময়ে পত্রপত্রিকায় কার্টুন কম দেখা যায়। এই কার্টুনের সৃজনশীল স্রষ্টা ছিলেন এম এ কুদ্দুস। মানুষের জানার বাহক সাংবাদিক। সাংবাদিকদের কাছ থেকে আমিও জানি। পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের দেশে পরিবর্তন হচ্ছে। সার্বিকভাবে দেশের ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে। অস্বীকার করব না সেখানে অনেক গ্যাপ আছে, দৃশ্যমান ঘাটতি আছে। সাংবাদিকতার পেশায় যারা ভূমিকা পালন করছেন, তারা রাষ্ট্র ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে দায়িত্ব পালন করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
