শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

১৬ চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেফতার ৮

চোরদের আশ্রয় দিতেন ইউপি সদস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

নাটোরের সিংড়া থানায় দায়ের হওয়া মোটরসাইকেল চুরির একটি মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ধারাবাহিক অভিযানে ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়াসহ চোরচক্রের আট সদস্যকে গ্রেফতার করেছে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। চক্রের অন্য সদস্যরা হলেন অন্যতম হোতা মো. দুলাল মিয়া ওরফে বাছেদ, সদস্য মো. আইয়ুব আলী, মো. শামীম খান, নাসির উদ্দিন, আল আমিন হোসেন, খবির শেখ ও মোহাম্মদ জিয়াম হোসেন ওরফে জিম। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার টানা ৪৮ ঘণ্টা পাবনা ও সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৬টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়। গতকাল এসব তথ্য জানান এটিইউর এসপি (মিডিয়া) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, সিংড়া থানা পুলিশের অনুরোধে একটি মোটরসাইকেল চুরি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে আন্তজেলা চোরচক্রের আটজনকে গ্রেফতার করা হয়। শুরুতে আভিযানিক দল সিরাজগঞ্জের পাকিনা গ্রামে নরিনা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বাচ্চু মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালায়।

সেখান থেকে দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় এ চক্রের অন্যতম হোতা বাছেদ ও তার সহযোগী আইয়ুবকে। তাদের আশ্রয় দেওয়া ও মোটরসাইকেল বিক্রিতে সহযোগিতা এবং এ চক্রের সঙ্গে কাজ করার প্রমাণ মেলায় ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়াকেও গ্রেফতার করা হয়। বাচ্চু মিয়ার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা বিচারাধীন রয়েছে। আর বাছেদের বিরুদ্ধে রয়েছে ছয়টি মামলা। পরে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে আরও ১৪টি মোটরসাইকেলসহ পাঁচ চোরকে গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে গতকাল নাটোর পুলিশলাইনসে এক সংবাদ সম্মেলনে এসপি মো. তারিকুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে হত্যা, চুরিসহ বিভিন্ন থানায় ছয়-সাতটি করে মামলা রয়েছে। উদ্ধার মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ও চ্যাসিজ নম্বর দেশের সব থানায় মেসেজ করে দেওয়া হবে। যাদের মোটরসাইকেল মিসিং আছে, তারা বৈধ কাগজপত্র নিয়ে যোগাযোগ করে ফিরিয়ে নিতে পারবেন।

এসপি তারিকুল আরও জানান, একেকটি মোটরসাইকেল তিন হাত বদল হয়েছে। শুরুতে একটি দল মোটরসাইকেল চুরি করে অন্য দলের কাছে বিক্রি করে দেয়। তারা আরেকটি দলের কাছে পাঠিয়ে দেয়। এক এলাকার মোটরসাইকেল চলে যাচ্ছে অন্য এলাকায়, অন্য এলাকার মোটরসাইকেল চলে আসছে এ এলাকায়। দেশব্যাপী মোটরসাইকেল চোরচক্রের একটি নেটওয়ার্ক আছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর