শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিদ্যুতের ভেলকিবাজি অস্বীকার কর্তৃপক্ষের

ইমরান এমি, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে কমছে না বিদ্যুতের ভেলকিবাজি। বৃষ্টি কমার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকদিন ধরে ফের বেড়েছে বিদ্যুতের আসা-যাওয়া খেলা। দাবদাহের প্রভাবে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে এবং এ কারণে বিদ্যুৎ সংকট দেখা দেয়, এমন কথা বলে আসছে সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে বৃষ্টিপাত হচ্ছে, বৃষ্টিপাত হলে লোডশেডিং কমার কথা থাকলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুতের যাওয়া-আসার খেলা থামছে না। গ্রামাঞ্চলে এ ভেলকিবাজি আরও বেশি। এতে ইলেকট্রনিক পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা বলছেন গ্রাহকরা। চট্টগ্রাম পিডিবির প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিম জানান, চট্টগ্রামে কয়েকদিন ধরে কোনো ধরনের লোডশেডিং নেই। যদি কোনো এলাকায় হয়ে থাকে তা হয়তো সংশ্লিষ্ট এলাকার বিদ্যুতের কোনো কাজের জন্য বা অন্য কোনো লাইনের সমস্যার কারণে। এখন আমাদের পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। যার কারণে গত দু-তিন ধরে আমাদের লোডশেডিং নেই বললেই চলছে। চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর মহাব্যবস্থাপক দীলিপ চন্দ্র চৌধুরী বলেন, আমাদের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে হয় তো কোনো ত্রুটির কারণে বিদ্যুতের সমস্যা হতে পারে। তবে বিদ্যুৎ সংকট নেই আমাদের, লোডশেডিং হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে কোনো এলাকায় যদি বিদ্যুৎ সমস্যা হয়, তা সংশ্লিষ্ট এলাকার বিদ্যুৎ অফিসে জানালে সমাধান করা হবে। নগরের বাকলিয়া এলাকার বাসিন্দা তৌহিদুল আলম জানান, সারা দিন বাইরে থাকি, রাতে বাসায় এসে বিদ্যুৎ পাই না। এলেও কিছুক্ষণ পর আবার চলে যায়। কোনো সমস্যা হলে ফোন দিলেও পাওয়া যায় না। অফিসে দিনের বেলাও বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে। রাত-দিন সব সময় বিদ্যুতের ভেলকিবাজি অব্যাহতভাবে চলতে থাকে। চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীনে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে বোয়ালখালী, আনোয়ারা, বাঁশখালী, সাতকানিয়ার একাংশ, লোহাগাড়া, চন্দনাইশের একাংশ, পটিয়া, কর্ণফুলী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অধীনে। রাউজান, রাঙ্গুনিয়া ও ফটিকছড়ি উপজেলায় চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এবং হাটাহাজারী, মীরসরাই ও সীতাকুন্ড উপজেলা চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর অধীনে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হলে এবং জ্বালানি সংকট কেটে গেলে দেশে শতভাগ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি ফিরবে বলে আশা করছেন পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর