রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

নতুন ফাঁদ জিটিসি-এক্স

♦ কয়েক হাজার বিনিয়োগকারী সর্বস্বান্ত ♦ বীরদর্পে মূলহোতা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

রাতারাতি ধনী হতে গিয়ে ‘এমটিএফই’ অ্যাপের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারণার শিকার হয়েছেন দেশের লক্ষাধিক বিনিয়োগকারী। বিভিন্ন এলাকার মতো চাঁপাইনবাবগঞ্জেও অনলাইনভিত্তিক এই এমএলএম কোম্পানির প্রতারণায় সর্বস্বান্ত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। তবে এই অ্যাপের কল্যাণেই হঠাৎ

কোটিপতি হয়েছেন ভার্চুয়াল মুদ্রা ক্রিপ্টোকারেন্সির ‘মাস্টারমাইন্ড’ চাঁপাইনবাবগঞ্জের মো. নূরুন্নবী ওরফে

পলাশ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নে কদমতলী গ্রামের মো. নূরুন্নবী ওরফে পলাশ এমটিএফই অ্যাপ উধাওয়ের ঘটনার মধ্যেই আরেক নতুন অ্যাপ জিটিসি-এক্স নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। এমনকি গত ১৭-১৯ আগস্ট জিটিসি-এক্সের কয়েকজনের সঙ্গে ট্যুর করেছেন কক্সবাজারে। যার স্থিরচিত্র রয়েছে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, নূরুন্নবী ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনা-বেচাসহ মানিলন্ডারিং ও অনলাইন প্রতারণার অন্যতম হোতা। এ সবের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মুদ্রা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। নানা ছলচাতুরী, কূটকৌশল কিংবা প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে তিনি এখন কয়েক কোটি টাকার মালিক।

সূত্র মতে, অবৈধ অনলাইন ক্রিপ্টো ট্রেডিং কোম্পানি এমটিএফই ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে অন্তত ৫০০ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে দুবাইভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম কর্ণধার তরিকুল ইসলামের সব ডলার কেনাবেচা করেছেন নূরুন্নবী। এদিকে অভিযুক্ত নূরুন্নবী অবৈধ ভার্চুয়াল মুদ্রা লেনদেন জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে সাংবাদিকদের

বলেন, তিনি সম্প্রতি বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি অবৈধ অনলাইন ক্রিপ্টো ট্রেডিং কোম্পানির পার্পেল ডায়মন্ড ছিলেন। তার দাবি তিনি নিজের ও পরিবারের প্রায় ৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়, অতি অল্প সময়ে চোখধাঁধানো মুনাফার টোপে ফেলে শত শত মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন নূরুন্নবী। পিএলসি আলটিমা নামের অনলাইন ক্রিপ্টো ট্রেডিং কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেলেও রূপকথার টাকার গাছ বিটকয়েনের কারবার ছাড়েননি তিনি। অভিযুক্ত নূরুন্নবী আরও জানান, তিনি কৃষি খামার ও আমদানি রপ্তানি ব্যবসা করেন। একপর্যায়ে একটি অনলাইন ক্রিপ্টো ট্রেডিং কোম্পানিতে কাজ শুরু করেন। নিজের ও পরিবারের মিলিয়ে প্রায় ৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

এ ছাড়া তিনি যাদের বিনিয়োগ করিয়েছিলেন তাদের ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন। তবে বিদেশে অর্থ পাচারের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবুল কালাম সাহিদ বলেন, এমন অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর