রংপুরে সামান্য ঘটনায় মান-অভিমান করে আত্মহত্যার প্রবণতা আশঙ্কাজনকহারে বেড়েছে। গত পাঁচদিনে রংপুরের বিভিন্ন উপজেলায় ৯ জন আত্মহত্যা করেছে। এর মধ্যে একদিনেই ৫ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গতকাল কাউনিয়া উপজেলায় মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ায় নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা  করেছে। হঠাৎ করে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় অভিভাবক ও সচেতন মহল চিন্তিত হয়ে পড়েছে। 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কাউনিয়া উপজেলার হরিশ্বর গ্রামের দুলু মিয়ার পুত্র সামিউল ইসলাম জিসানকে (১৫) তার বাবা মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ায় রবিবার সকালে ঘরের তীরে গলায় লুঙ্গি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। তার বাবা একজন দিনমজুর। সে হলদিবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে ইউডি মামলা হয়েছে জানিয়েছেন কাউনিয়া থানার ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ।

বুধবার সকালে বদরগঞ্জ উপজেলার কালুপাড়া ইউনিয়নে বৈরামপুর খুনিয়াপাড়া গ্রামে নিজ ঘর থেকে মশকুর রহমান (২৫) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। যুবকের পরিবারের দাবি দীর্ঘদিন ধরে মশকুর মানসিক রোগে ভুগছিলেন। একই দিন সকাল ৮টার দিকে দামোদরপুর ইউনিয়নের মোস্তফাপুর গ্রামের গৃহবধূ শাহিনুর বেগমের (৪৮) লাশ গোয়ালঘরের তীরে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। অপরদিকে রামনাথপুর ইউনিয়নের সরদারপাড়া গ্রামের সকাল সাড়ে ১০টায় নিজ ঘরে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় নুরজাহান বেগম (৩৫) নামে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বদরগঞ্জ থানার ওসি নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, মশকুর রহমানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং অপর দুটি ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়েছে।

অপরদিকে মঙ্গলবার বিকালে হারাগাছ, ধুমেরকুঠি (ভুল্লা টারী) এলাকায় সুমাইয়া আক্তার সোমা আক্তার (১৬) নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। প্রেমঘটিত কারণে সুমাইয়া আত্মহত্যা করেছে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে ইউডি মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হারাগাছ থানার ওসি মোজাম্মেল হক।

শুক্রবার পীরগঞ্জে কাবিলপুর ইউনিয়নের বেতকাপা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হামিদ নামের এক বৃদ্ধ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পীরগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান আবদুল হামিদ ছাড়াও আরও দুই মহিলা আত্মহত্যা করেছে গত এক সপ্তাহে। সবগুলো ঘটনায় ইউডি মামলা করা হয়েছে।