সোমবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

ড. ইউনূসকে হয়রানির প্রতিবাদে ৩৪ বিশিষ্টজনের বিবৃতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সরকারের আচরণের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ৩৪ বিশিষ্টজন। তাঁর বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক সব পদক্ষেপ ও একতরফা বিষোদগার বন্ধে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। বিবৃতিদাতারা হলেন- অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক, হাফিজউদ্দিন খান, হামিদা হোসেন, আলী ইমাম মজুমদার, দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, বদিউল আলম মজুমদার, শাহদীন মালিক, শারমীন মুরশিদ, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, অধ্যাপক আলী রীয়াজ, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, শহিদুল আলম, অধ্যাপক সি আর আবরার, অধ্যাপক পারভীন হাসান, অধ্যাপক ফিরদৌস আজিম, শিরিন হক, রেহনুমা আহমেদ, বিনা ডি কস্টা, অধ্যাপক স্বপন আদনান, অধ্যাপক শাহনাজ হুদা, অধ্যাপক তাসনীম সিরাজ মাহবুব, রুশাদ ফরিদী, অধ্যাপক আর রাজী, সায়েমা খাতুন, নায়লা জেড খান, সুব্রত চৌধুরী, তবারক হোসেইন, এম রেজাউল করিম চৌধুরী, সাদাফ নূর, নোভা আহমেদ, রোজীনা বেগম, নাসের বখতিয়ার আহমেদ, মাহবুব মোর্শেদ ও রাখাল রাহা।

গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, সম্প্রতি ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমে তাঁর কয়েকজন সহকর্মীর বিরুদ্ধে শ্রম আইন ভঙ্গের অভিযোগে শ্রম আদালতে একটি ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে। তাঁর আইনজীবীরা জানিয়েছেন, উত্থাপিত অভিযোগগুলো দেওয়ানি চরিত্রের হলেও সরকারের পক্ষ থেকে ফৌজদারি মামলা করা হয়। এই মামলা অস্বাভাবিক দ্রুতগতিতে নিষ্পত্তি করার ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা বর্তমানে লক্ষণীয় হয়ে উঠছে। ইতিপূর্বে হিসাব তলব, তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের নামে ড. ইউনূসকে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হয়রানি করেছে। পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে তাঁর বিরুদ্ধে নানা ধরনের বিষোদগার অব্যাহত রয়েছে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রম আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের ঘটনাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে ধারণা করার যুক্তি রয়েছে বলে আমরা মনে করছি। আমরা এতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ড. ইউনূস অতিদরিদ্র ও অবহেলিত মানুষের অবস্থার উন্নয়নে কাজ করে বিশ্বে সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম ও কংগ্রেসনাল গোল্ডমেডেলসহ বিভিন্ন পদক ও পুরস্কার অর্জন করে বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান বয়ে এনেছেন। আইনগত ও প্রশাসনিক পদক্ষেপের মোড়কে তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন হয়রানিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ তাঁর কাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। পাশাপাশি বিশ্বের কাছে নেতিবাচক বার্তা প্রদান করছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর