বিএনপিকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনীতি করেন কিন্তু দয়া করে ষড়যন্ত্র করবেন না। গতকাল রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর উদ্যোগে সংস্থাটির সদর দফতরের সামনে ‘উন্নয়ন ও শান্তি’ সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বিএনপির নেতারা দল বেঁধে সিঙ্গাপুর গেছেন। শুনলাম জাতীয় পার্টির নেতারাও গেছেন। আলাপ-আলোচনা ভালো। তবে দয়া করে সন্ত্রাস করবেন না, মানুষ পোড়ানোর রাজনীতি থেকে বিরত থাকবেন। আইইবির প্রেসিডেন্ট ও আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুরের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন আইইবির সাবেক সভাপতি নুরুল হুদা, সহ-সভাপতি নুরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস এম মনজুরুল হক মঞ্জু, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনৈতিক আলোচনা দেশেও করবে, বিদেশে গিয়েও করবে এটা তাদের ব্যাপার। রাজনীতি করেন, দয়া করে ষড়যন্ত্র করবেন না, সন্ত্রাস করবেন না, ২০১৩-১৪ সালের মতো আগুন দিয়ে মানুষ পোড়াবেন না। এই রাজনীতি থেকে বিরত থাকবেন।

জনগণ ছাড়া কোনো আন্দোলন সফল হয় না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির আন্দোলনে জনগণ আসে না বলে এবার সন্ত্রাসের পথে যাচ্ছে। কানাডায় পাঁচজন নেতা আশ্রয় চাইতে গিয়েছিলেন। সেদেশের আদালত বলে দিয়েছেন এরা সন্ত্রাসী। এদের দল ১টা গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করার জন্য দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া যাবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের মাত্র চার মাস আছে। এর মধ্যে অনেক দূর যেতে হবে। দেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে, দেশকে বাঁচাতে হবে। এ জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকতে হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে এ দেশে রক্তের বন্যা বইয়ে দেবে। কোনো ভালো মানুষ বাঁচতে পারবে না। মুক্তিযুদ্ধের অস্তিত্বকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে। এই অপশক্তি সাম্প্রদায়িকতার সবচেয়ে বড় ঠিকাদার। বিএনপি সাম্প্রদায়িকতার সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক। তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানিয়ে ফেলবে।

তিনি বলেন, যে বুলেট শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে এতিম করেছে, সেই বুলেটই বেগম খালেদা জিয়াকে বিধবা করেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মঈন খান বলেন, তারেক রহমানকে আওয়ামী লীগ সরকার ভয় পায়। তিনি এত সাহসী মানুষ যে মুচলেকা দিয়ে পালিয়ে গেল লন্ডনে। বলে গেল রাজনীতি আর করবে না। এখন আন্দোলনের ডাক দেয় রিমোট কন্ট্রোল হিসেবে। মনে করে তার ডাকে বঙ্গোপসাগরের সব জল ঢাকা শহর গ্রাস করবে। এত সোজা না।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশে অবিস্মরণীয় যে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে গেছে এর সঙ্গে রয়েছে আমাদের প্রকৌশলীরা। এ জন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। অনেক মেধাবী প্রকৌশলী বাংলাদেশে আছেন। আজকে ৪ লেন, ৬ লেন, ৮ লেন, ১০০ সেতু একদিনে উদ্বোধন- এগুলো তো ইঞ্জিনিয়ারদের গল্প।