বুধবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

তারেক রহমানের বক্তব্য সরাতে আমাদের ক্ষমতা কাজে লাগাব : মোস্তাফা জব্বার

নিজস্ব প্রতিবেদক

তারেক রহমানের বক্তব্য সরাতে আমাদের ক্ষমতা কাজে লাগাব : মোস্তাফা জব্বার

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আদালতের নির্দেশনার কপি পেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যের কনটেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরাতে নিজেদের ক্ষমতাটুকু কাজে লাগাব। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে অনুরোধ জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী। গতকাল সচিবালয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণা এবং অবৈধ ও যাচাইবিহীন আর্থিক লেনদেনসংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে অনলাইন অ্যাপ মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জের (এমটিএফই) মাধ্যমে বিনিয়োগ করে প্রতারিত হওয়ার বিষয়েও কথা বলেন মন্ত্রী। তারেক রহমানের সম্প্রতি দেওয়া সব বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরাতে বিটিআরসিকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট।

 এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল দুনিয়ায় কোনটা তালা মেরে দেওয়া সম্ভব আর কোনটা খোলা থাকে সে বিষয়টি আরও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলোচনা করতে হবে। আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, আমরা আমাদের দিক থেকে আদালতের নির্দেশের কপি হাতে পাওয়ার পর যেটুকু ক্ষমতা আছে, সেই ক্ষমতাটুকু কাজে লাগাব।

মন্ত্রী আরও বলেন, যেসব প্ল্যাটফরমে আদালতের নির্দেশ অনুসারে কনটেন্ট সরানো দরকার আমরা তাদের (সোশ্যাল মিডিয়া সংশ্লিষ্টদের) জানাব যে আদালত তোমাদের বলেছেন এই কনটেন্ট সরানোর জন্য। আমাদের অভিজ্ঞতা যেটুকু, সেটুকু হচ্ছে আদালত যদি বলেন কনটেন্ট সরাতে হবে সচরাচর সোশ্যাল মিডিয়া যে কটা আছে তারা এগুলোকে অস্বীকার করার মতো মানসিকতায় চলে না। যতটুকু সম্ভব তারা আদালতকে সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করে।

এমটিএফই নিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, এটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ, তাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করছে। কিছু গ্রেফতার হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে। এ সম্পর্কে যা যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তারা নেবে। মন্ত্রী বলেন, ক্রিপটোকারেন্সি বাংলাদেশে বৈধ না। কেউ যদি এটিতে লেনদেন করে থাকেন, সেটা সম্পূর্ণ অবৈধ। যখনই কারেন্সির (মুদ্রা) প্রশ্ন আসে, এটির সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কারেন্সির আসা-যাওয়া থেকে শুরু করে লেনদেনসহ যাবতীয় বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে। তবে আমরা যারা ডিজিটাল দুনিয়ায় কাজ করি, এটা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ আছে। তিনি বলেন, অ্যাপটি যদি দুবাইতেও চলে থাকে, কিন্তু যারা টাকা দিয়েছে বা অংশগ্রহণ করেছে, তারা বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য জায়গা থেকে করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর