পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে বিশ্বনেতাদের খোলা চিঠির বিষয়ে সরকার বিচলিত নয়। আর এ ইস্যুতে সরকার চিন্তিত বা চাপেও নেই। গতকাল রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী। ‘দক্ষিণ কোরিয়া-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সহযোগিতা : উন্নয়ন অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং সুযোগ অনুসন্ধান’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে ঢাকার কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের দূতাবাস, কোরিয়া ট্রেড-ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন এজেন্সি (কোটরা) ও কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (কেবিসিসিআই)। সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুক্তবাকের বিশ্বে যে কোনো অবস্থান থেকে যে কেউ কিছু বলতে পারেন। যেভাবে বলি না কেন, এখানে সরকারের কোনো প্রভাব ছিল না, ভবিষ্যতেও থাকবে না।

বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন। স্বাধীন বিচার বিভাগ যেটা মনে করেন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে তাই করেন। বিচার বিভাগ সিদ্ধান্ত নেবে এবং বিচার চলবে। আমরা এটা নিয়ে বিচলিত বা এটা নিয়ে চিন্তিত বা চাপ নেই। শাহরিয়ার আলম বলেন, আমি মনে করি না যারা এই আবেদনে শামিল হচ্ছেন তারা তাদের খ্যাতির প্রতি ন্যায়বিচার করেছেন। একটা বিচারকে তারা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। কিন্তু একজন ব্যক্তি যিনি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, যিনি শত শত হাজার মানুষকে নিয়োগ করেছেন; যার সম্পদ আছে তার তো একটা লিগ্যাল ইস্যু থাকতে পারে। তার মানে এই না তিনি অপরাধী হয়েই যাবে আর সেটা অনুসন্ধান করাই যাবে না।

উল্লেখ্য, নোবেলজয়ী ইউনূসকে দন্ড দেওয়া হতে পারে এ আশঙ্কায় ১০০ জনেরও বেশি নোবেল পুরস্কারজয়ীসহ ১৭৫ জন বিশ্বনেতা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন।