শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ডেঙ্গুর স্যালাইন নিয়ে নৈরাজ্য

১০০ টাকার স্যালাইন চট্টগ্রামের ফার্মেসিগুলোতে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

ডেঙ্গুর স্যালাইন নিয়ে নৈরাজ্য

ডেক্সাট্রোজ নরমাল স্যালাইনের (ডিএনএস) মূল্য ১০০ টাকা। কিন্তু ফার্মেসিগুলোতে বিক্রি করা হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। তাছাড়া, ফার্মেসিতে ডিএনএস থাকার পরও বেশি দামে বিক্রির জন্য ক্রেতাকে নেই বলে ফিরিয়ে দিচ্ছে। এভাবে ডেঙ্গুর প্রকোপকে কেন্দ্র করে ডিএনএস নিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে। ডিএনএস নিয়ে করা হচ্ছে নৈরাজ্য। ফলে রোগীদের এ স্যালাইন কিনতে হচ্ছে অতিরিক্ত মূল্যে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ফার্মেসিগুলোতে অভিযান পরিচালনা করলেও ফার্মেসিগুলোর দৌরাত্ম্য থামছেই না। চট্টগ্রামে গত ৮ মাসে ডেঙ্গুতে ৫৩ জন মারা যান এবং আক্রান্ত হয় ৫ হাজার ৭৮৭ জন। অভিযোগ আছে, নগরের হাজারি গলি ও চকবাজার এলাকার ফার্মেসিগুলোতে ডিএনএস মজুদ থাকার পরও তা বিক্রি করে না। প্রথম দিকে নেই বলে বাজারে প্রচার করে দেয়, পরে তা বর্ধিত দামে বিক্রি করে। এ নিয়ে রোগীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ডিএনএস থাকার পরও তা বিক্রি না করা এবং বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা এটি অত্যন্ত গর্হিত ও অমানবিক কাজ। ইতোমধ্যে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে অনিয়ম ধরা পড়লেই শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। বিষয়টি আমরা মনিটরিংয়ে রাখছি। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক এস এম সুলতানুল আরেফীন বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপের কারণে ডিএনএস স্যালাইনের চাহিদা কিছুটা বাড়ছে। তবে সংকট তৈরির মতো অবস্থা হয়নি। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় মাঝে মাঝে সমস্যা দেখা দেয়। প্রকৃত ঘটনার চেয়ে না থাকার বিষয়টি প্রচার বেশি হয়ে যায়। ফলে ফার্মেসিগুলো দামও বাড়িয়ে ফেলে। তাই সংকটটা কৃত্রিম। এ কারণে ফার্মেসিগুলোতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রাখা হয়েছে।

জানা যায়, গত বুধবার চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেটের সামনের ফার্মেসিগুলোতে জেলা প্রশাসনের কর্মচারীরা ডিএনএস স্যালাইন কিনতে গেলে নেই বলে ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু একটু পরেই জেলা প্রসাশনের অভিযান দল সেখানে গেলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ডিএনএস স্যালাইন উদ্ধার করে। এ সময় ডিএনএস স্যালাইনের কৃত্রিম সংকট ও ওষুধের বাজারে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপরাধে সময় সাহান মেডিকোকে ২০ হাজার, সবুজ ফার্মেসিকে ১০ হাজার, ইমন মেডিকেল হলকে ২০ হাজার এবং পপুলার মেডিসিন কর্নারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর আগে গত ২৫ জুলাই নগরের হাজারী গলিতে অভিযান চালিয়ে ১৫০ লিটার ডিএনএস জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে তিনটি ফার্মেসিকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে এসব স্যালাইন একটি হাসপাতালের ফার্মেসিতে ন্যায্য দামে বিক্রি করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর