শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

এক সেতুতে অনেক স্বপ্ন

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

এক সেতুতে অনেক স্বপ্ন

নদীর নাম বড়ভাঙ্গা। স্থানীয়রা ডাকেন বড়ভাগা। কুশিয়ারা নদীর শাখা নদী বড়ভাঙ্গা। এই নদী দুইভাগ করেছে সিলেটের প্রবাসী অধ্যুষিত উপজেলা বালাগঞ্জকে। নদীর ওপরে সেতু না থাকায় উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলেন। দুর্ভোগ লাঘবে শেষ পর্যন্ত নদীর ওপর নির্মিত হচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত সেতু। ১২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে দুটি দৃষ্টিনন্দন সেতু। একটি যান চলাচলের জন্য, অন্যটি ওয়াকওয়ে বা পায়ে হাঁটার। ২৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় বড়ভাঙ্গা সেতু প্রকল্পটি অনুমোদন পেয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান। সেতুটি যোগাযোগ, কৃষি, স্বাস্থ্যসহ আর্থ-সামাজিক খাতে ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। স্বপ্ন পূরণ হবে প্রবাসী অধ্যুষিত বালাগঞ্জ উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের। সূত্র জানিয়েছে, বড়ভাঙ্গা নদীর ওপর পাশাপাশি দুটি সেতু হবে। একটি হবে সবধরনের যান চলাচলের জন্য। অপরটি হবে পর্যটক আকর্ষণের জন্য ওয়াকওয়ের আদলে। এই সেতু দিয়ে জনসাধারণ হেঁটে পারাপার হতে পারবেন।

সেতুটি হবে অনেকটা রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতুর আদলে। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সেতু দুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হতে পারে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বড়ভাঙ্গা নদীতে সেতু নির্মাণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় লোকজন আন্দোলন করে আসছেন। বড়ভাঙ্গা নদীর ওপর সেতু হবে, সেতু দিয়ে যান চলবে; এটা যেন ওই অঞ্চলের মানুষের লালিত স্বপ্ন। সড়ক ও জনপথ (সওজ) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বড়ভাঙ্গা সেতুটির দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ১২০ মিটার। সেতু দুটি নির্মিত হলে নদীর উত্তরপাড়ের স্থানীয় লোকজনদের আর তাজপুর ঘুরে বালাগঞ্জ সদর কিংবা সিলেট শহরে যেতে হবে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর