শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নিষেধাজ্ঞা শেষে প্রথম দিনেই সুন্দরবনে দেড় হাজার পর্যটক

বাগেরহাট প্রতিনিধি

টানা তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে পর্যটক ও বনজীবীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইট সুন্দরবন। গতকাল সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বিশ্বের বৃহত্তম এই ম্যানগ্রোভ বনে ইকোট্যুরিজমে (প্রতিবেশ পর্যটন) গেছেন ১ হাজার ৫০০ দেশি-বিদেশি পর্যটক। এর মধ্যে বাগেরহাটের মোংলা, খুলনা ও  ঢাকা থেকে ৯টি বিলাসবহুল ক্রুজার এবং লঞ্চে ৩৪৯ জন দেশি-বিদেশি পর্যটক তিন দিনের ভ্রমণে সুন্দরবন গেছেন। অন্য পর্যটকরা লোকালয়ের কাছাকাছি সুন্দরবনের করমজল, হারবাড়িয়া আন্ধারমানিক, শরণখোলা, আলীবান্ধা, শেখেরটেক ও কলাগাছিয়া ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র এলাকা ভ্রমণ করে সন্ধ্যার আগেই ফিরে এসেছেন। এ ছাড়াও দুই শতাধিক বনজীবী জেলে বিশ্বখ্যাত শীলা কাঁকড়া, ইলিশসহ অন্যান্য মাছ শিকারে এক সপ্তাহের পাস-পারমিট নিয়ে সুন্দরবনে গেছেন। বিকালে সুন্দরবন বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সুন্দরবন ট্যুর অপারেটর রয়েল ট্যুর অ্যান্ড রয়েল হোটেল মালিক গোলম রহমান বিটু জানান, সুন্দরবন খুলে দেওয়ার প্রথম দিনই ট্যুর অপারেটদের ৯টি বিলাসবহুল ক্রুজার ও লঞ্চে ৩৪৯ জন দেশি-বিদেশি পর্যটক তিন দিনের ভ্রমণে সুন্দরবন গেছেন। এর মধ্যে সাতটি খুলনার, একটি মোংলার ও একটি ঢাকার। এখন বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় পর্যটকরা ১ নভেম্বরের আগে সুন্দরবনের হিরনপয়েন্ট ও দুবলা যেতে পারবেন না। এখন পর্যটকবাহী ক্রুজার ও লঞ্চগুলো সুন্দরবনের করমজল, হারবারিয়া, কটকা, কচিখালী ও ডিমেরচর রুটে যাতায়াত করবে। সুন্দরবন উন্মুক্ত হওয়ার খবরে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের চাপ বেড়েছে। প্রায় সব ট্যুর অপারেটরের পর্যটকবাহী লঞ্চ ও বিলাসবহুল ক্রুজারের কেবিন এক সপ্তাহ আগেই বুক হয়ে গেছে। পর্যটকদের চাপ এভাবে শীত মৌসুমের আগ পর্যন্ত থাকলে তিন মাস বন্ধের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর