টানা তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে পর্যটক ও বনজীবীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইট সুন্দরবন। গতকাল সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বিশ্বের বৃহত্তম এই ম্যানগ্রোভ বনে ইকোট্যুরিজমে (প্রতিবেশ পর্যটন) গেছেন ১ হাজার ৫০০ দেশি-বিদেশি পর্যটক। এর মধ্যে বাগেরহাটের মোংলা, খুলনা ও ঢাকা থেকে ৯টি বিলাসবহুল ক্রুজার এবং লঞ্চে ৩৪৯ জন দেশি-বিদেশি পর্যটক তিন দিনের ভ্রমণে সুন্দরবন গেছেন। অন্য পর্যটকরা লোকালয়ের কাছাকাছি সুন্দরবনের করমজল, হারবাড়িয়া আন্ধারমানিক, শরণখোলা, আলীবান্ধা, শেখেরটেক ও কলাগাছিয়া ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র এলাকা ভ্রমণ করে সন্ধ্যার আগেই ফিরে এসেছেন। এ ছাড়াও দুই শতাধিক বনজীবী জেলে বিশ্বখ্যাত শীলা কাঁকড়া, ইলিশসহ অন্যান্য মাছ শিকারে এক সপ্তাহের পাস-পারমিট নিয়ে সুন্দরবনে গেছেন। বিকালে সুন্দরবন বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সুন্দরবন ট্যুর অপারেটর রয়েল ট্যুর অ্যান্ড রয়েল হোটেল মালিক গোলম রহমান বিটু জানান, সুন্দরবন খুলে দেওয়ার প্রথম দিনই ট্যুর অপারেটদের ৯টি বিলাসবহুল ক্রুজার ও লঞ্চে ৩৪৯ জন দেশি-বিদেশি পর্যটক তিন দিনের ভ্রমণে সুন্দরবন গেছেন। এর মধ্যে সাতটি খুলনার, একটি মোংলার ও একটি ঢাকার। এখন বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় পর্যটকরা ১ নভেম্বরের আগে সুন্দরবনের হিরনপয়েন্ট ও দুবলা যেতে পারবেন না। এখন পর্যটকবাহী ক্রুজার ও লঞ্চগুলো সুন্দরবনের করমজল, হারবারিয়া, কটকা, কচিখালী ও ডিমেরচর রুটে যাতায়াত করবে। সুন্দরবন উন্মুক্ত হওয়ার খবরে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের চাপ বেড়েছে। প্রায় সব ট্যুর অপারেটরের পর্যটকবাহী লঞ্চ ও বিলাসবহুল ক্রুজারের কেবিন এক সপ্তাহ আগেই বুক হয়ে গেছে। পর্যটকদের চাপ এভাবে শীত মৌসুমের আগ পর্যন্ত থাকলে তিন মাস বন্ধের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।