সীমান্ত হত্যা নিরসন, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মাদক ও মানব পাচার এবং স্বর্ণ ও অস্ত্র চোরাচালান রোধসহ বিভিন্ন ধরনের আন্তসীমান্ত অপরাধ দমনে যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণের মধ্য দিয়ে যশোরে শেষ হলো বিজিবি-বিএসএফ রিজিয়ন কমান্ডার ও ফ্রন্টিয়ার আইজি পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন।
যশোরের একটি হোটেলে চার দিনব্যাপী বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) এই সীমান্ত সম্মেলন গতকাল শেষ হয়। এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর বিজিবির রিজিয়ন কমান্ডারস (রংপুর ও যশোর রিজিয়ন) এবং বিএসএফের ফ্রন্টিয়ার ইন্সপেক্টর জেনারেলসের (সাউথ বেঙ্গল, নর্থ বেঙ্গল ও গৌহাটি ফ্রন্টিয়ার) মধ্যে এ সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনের শেষ দিনে যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, চার দিনের সীমান্ত সম্মেলনে পেশাদারির সঙ্গে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্তে রাত্রিকালীন যৌথ টহল বৃদ্ধি, সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, জনসচেতনতা ও জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ, পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো পক্ষের সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোনো ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ না করা ও বন্ধ থাকা উন্নয়নমূলক কাজ জয়েন্ট ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে দ্রুত সমাধান করতে উভয় পক্ষ সম্মত হয়। সীমান্ত সম্মেলনে বিজিবির রংপুর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের নেতৃত্বে ২১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে বিজিবির যশোর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহমেদসহ রংপুর ও যশোর রিজিয়নের অধীনস্থ সেক্টর কমান্ডার, বিজিবির স্টাফ অফিসার, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতর এবং যৌথ নদী কমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি আয়ুষ মানি তিওয়ারির নেতৃত্বে ৩৭ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দলে বিএসএফ নর্থ বেঙ্গল ও গৌহাটি ফ্রন্টিয়ারের আইজি, সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের নোডাল অফিসার, ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।