শিরোনাম
বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আমরা নির্বাচনের মাঠে সবার সঙ্গে খেলে জিততে চাই : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আমরা নির্বাচনের মাঠে সবার সঙ্গে খেলে জিততে চাই : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা নির্বাচনের মাঠে সবার সঙ্গে খেলে জিততে চাই আর বিএনপি শুধু পালিয়ে যেতে চায়। তাদের বলব মাঠ থেকে পালিয়ে না যাওয়ার জন্য। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন, আওয়ামী লীগ ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায়। প্রকৃতপক্ষে আমরা কখনো ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চাই না। আমরা চাই আগামী নির্বাচনে বিএনপি পূর্ণ শক্তি নিয়ে অংশগ্রহণ করুক। কিন্তু বিএনপির কথাবার্তায় মনে হচ্ছে, নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে তারা মাঠ ছেড়েই চলে যেতে চাচ্ছে। মির্জা ফখরুল সাহেবকে বলব মাঠে আসার জন্য এবং আমাদের সঙ্গে খেলার জন্য। আমরা খেলেই জিততে চাই। আমরা চাই সব রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এবং সেই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষ আগামী দিনের সরকার নির্বাচিত করুক।

 জনগণের ওপর আমাদের আস্থা আছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের আমূল পরিবর্তন ঘটেছে, শহর-গ্রামের এবং মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। মানুষের মুখে আগের ডাল-ভাতের পরিবর্তে এখন মাংসের দাম বাড়লে সেটি নিয়ে কথা শোনা যায়। আগে মানুষ ইট বিছানো রাস্তার দাবি জানাত, এখন কার্পেটিং করা রাস্তার দাবি জানায়। এখন মানুষ ভাত-কাপড়ের কথা বলে না, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের কথা বলে এবং আমাদের সরকার সেটি মোটামুটিভাবে নিশ্চিত করেছে, দেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। জনগণের ওপর আমাদের আস্থা আছে বিধায় আমরা সবার সঙ্গে নির্বাচনের মাঠে খেলে জিততে চাই আর বিএনপি শুধু পালিয়ে যেতে চায়। সরকার বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য সংলাপের ডাক দেবে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের মাঠে আমরা একটা পক্ষ। আমরা তো আয়োজক পক্ষ নই। নির্বাচন নিয়ে তাদের যদি কোনো অভাব-অভিযোগ কিছু থাকে তারা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলতে পারে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি মনে করি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব। ২০১৮ সালে নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেছিল। পরে সেটিকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল, এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করব এ নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবে। আগামী নির্বাচনে যদি বিএনপি অংশগ্রহণ না করে তাহলে মির্জা ফখরুল সাহেবের নিজের পতন এবং বিএনপির পতন দুটিই অবলোকন করবেন।

বিএনপির নির্বাচন প্রতিহত করার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন প্রতিহত করার ক্ষমতা বিএনপির নাই। ২০১৪ সালে আমরা তাদের মোকাবিলা করেছি। ২০১৪ সালের পরিস্থিতি বিএনপি আর কখনো সৃষ্টি করতে পারবে না। নির্বাচনে অবশ্যই সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক আমরা সেটিই চাই। কিন্তু গণতন্ত্রে জনগণের অংশগ্রহণটাই হচ্ছে মুখ্য। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭০ সালে নির্বাচনের সময় মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে স্লোগান দেওয়া হয়েছিল- ‘ভোটের বাক্সে লাথি মারো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’। অথচ ১৯৭০ সালে সেই নির্বাচন না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তখন অনেক রাজনৈতিক দল সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নাই কিন্তু জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছে এবং দেশ স্বাধীন হয়েছে। গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি এবং তাদের মিত্ররা অংশগ্রহণ করে নাই তবুও ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। আমরা চাই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। কিন্তু সেখানে জনগণের অংশগ্রহণটাই হচ্ছে মুখ্য। জনগণের অংশগ্রহণ থাকলে সেই ভোট নিশ্চয়ই গণতন্ত্রের বিচারে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর