শিরোনাম
বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

অর্থ পাচারে জড়িতদের শাস্তি চায় টিআইবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের আড়ালে অর্থ পাচারের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। অর্থ পাচার প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশনের মতো বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতা খর্ব করার সমালোচনা করে টিআইবি বলছে, ‘অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত অনেক অপরাধের অনুসন্ধান ও তদন্ত দুদকের এক্তিয়ার থেকে সরিয়ে নেওয়ার ফলে অর্থ পাচারের ক্ষেত্রে দুদক তার প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করতে পারছে না। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯ সংশোধন করে দুদকের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার জোর দাবি জানানো হয়। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব দাবি জানায় সংস্থাটি। মুদ্রা পাচারের ঘটনা অনুসন্ধানে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের সাফল্য সাধুবাদ জানানোর যোগ্য উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এ ঘটনা প্রমাণ করে, বাণিজ্যভিত্তিক অর্থ পাচারের ঘটনা খুঁজে বের করে তা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের রয়েছে। তবে ৮২১ কোটি টাকা পাচারের ঘটনা আসলে হিমশৈলের চূড়ামাত্র।

গ্লোবাল ফিন্যানশিয়াল ইনটেগ্রিটির (জিএফআই) ২০১৮ সালের তথ্যানুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর গড়ে ৭৫৩ কোটি ৩৭ লাখ ডলার পাচার হয়। টাকার অঙ্কে যা প্রায় ৮০ হাজার কোটি। হালনাগাদ করা সম্ভব হলে দেশ থেকে শুধু আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে মিস-ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে পাচারকৃত অর্থের পরিমাণ হবে বছরে কমপক্ষে ১ হাজার কোটি ডলার। অথচ সরকারকে বৈদেশিক মুদ্রা সংকট মোকাবিলা করতে আইএমএফ থেকে সাড়ে তিন বছরের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ করতে হয়েছে; যা সুদসহ পরিশোধ করতে হবে। অস্বীকার করার উপায় নেই, অর্থ পাচার নিয়ন্ত্রণ করা গেলে যেমন বাংলাদেশকে আইএমএফের দ্বারস্থ হতে হতো না, তেমন দেশে রিজার্ভ সংকটও তৈরি হতো না। অর্থ পাচার প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে জনস্বার্থের প্রতি প্রদ্ধাশীল হয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগী হওয়ার কথা আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর