শিরোনাম
শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

এলএনজি ও সার আমদানিসহ পাঁচ ক্রয়প্রস্তাব অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

জ্বালানি ঘাটতি মেটাতে দুই দেশ থেকে এলএনজি ও সার আমদানির প্রস্তাবসহ পাঁচটি ক্রয়প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৬৮২ কোটি ২৭ লাখ টাকা। গতকাল অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান। তিনি বলেন, ক্রয় কমিটির সভায় অনুমোদনের জন্য ছয়টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের দুটি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের দুটি এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি প্রস্তাব ছিল। এর মধ্যে স্পট মার্কেট থেকে (২০২৩ সালের ২০তম) এলএনজি আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। সুইজারল্যান্ডের কাছ থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ ১৩.৭৭ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।  এতে ব্যয় হবে ৫৯৫ কোটি ৪৫ লাখ ৮৮ হাজার ৬৪০ টাকা। এ ছাড়া স্পট মার্কেট থেকে (২০২৩ সালের ২১তম) এলএনজি আমদানির পৃথক আরেবটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে সিঙ্গাপুর থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ ১৪.৯৭ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৬৪৭ কোটি ৩৫ লাখ ৭ হাজার ৪০ টাকা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আরও জানান, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় মরক্কো থেকে ষষ্ঠ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। সার আমদানি চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে মরক্কো থেকে ষষ্ঠ লটে ৩০ হাজার (+১০%) মেট্রিক টন টিএসপি সার আনা হবে। এতে বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে ১ কোটি ১৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার বা ১২৯ কোটি ১০ লাখ ৫ হাজার টাকা ব্যয় অনুমোদন দেওয়া হয়।

বর্তমানে প্রতি মেট্রিক টন টিএসপি সার ৩৯৩ মার্কিন ডলার। চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে টিএপি সার আমদানির লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ মেট্রিক টন। এ পর্যন্ত আমদানি হয়ছে ১.৪৫ লাখ মেট্রিক টন।

অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় সৌদি আরব থেকে সপ্তম লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানি করার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে ব্যয় হবে ২ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার বা ২৩৭ কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে প্রতি টন ডিএপি সার ৫৪২.৫০ মার্কিন ডলার। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ডিএপি সার আমদানির লক্ষ্যমাত্রা ১১ লাখ টন। এ পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ২.৮০ লাখ টন। তিনি আরও জানান, বরিশাল (দিনেরারপুল)-লক্ষ্মীপাশা-দুমকি সড়কে পা ব-পায়রা নদীর ওপর নলুয়া-বাহেরচর সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি । এতে ব্যয় হবে ৭২ কোটি ৭৪ হাজার ৬০ হাজার টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর