শিরোনাম
শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

গুম নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে জাতিসংঘ : ড. মিজান

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও বেসরকারি সংস্থা এমপাওয়ারমেন্ট থ্রো ল অব দ্য কমন পিপল (এলকপ) এর চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের সংখ্যা ও তথ্য নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে জাতিসংঘ ও অন্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তথ্য প্রমাণ ছাড়া যেসব তথ্য তারা দেশীয়-আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করেছে। তাতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয়েছে। গতকাল তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকার সিক্স সিজন হোটেলে এলকপ আয়োজিত ‘গুম বিষয়ক প্রারম্ভিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন উপস্থাপন’ শীর্ষক সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, সংখ্যাটা যদি একজনও হয় সেটি মানবাধিকারের জন্য উদ্বেগজনক।

 তবে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা অগ্রহণযোগ্য। যেসব স্থানীয় এনজিও ও ব্যক্তিরা মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে ভুল তথ্য দিয়েছে এদের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

গুম বিষয়ক প্রারম্ভিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন এলকপ-এর রিসার্চ কনসালটেন্ট অরুপ রতন সাহা। তিনি বলেন, জাতিসংঘ ২০২২ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেছে ১৯৯৬ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ৮১ জন গুমের শিকার হয়েছেন। সেই তালিকা ধরে মাঠপর্যায়ে আমরা গবেষণা করে দেখেছি এই সংখ্যাটা ৩৬ জন। এদের মধ্যে ১২ জন ফেরত এসেছে এবং পরিবারের সঙ্গে কিংবা কারাবন্দি অবস্থায় আছে। তাছাড়া তালিকায় একই নাম দুইবার এবং গুমের শিকার ব্যক্তির ভুল ঠিকানা দেওয়া হয়েছে।

এলকপের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে সেমিনারের প্রধান অতিথি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বর্তমান সরকার যখনই জাতিসংঘ থেকে গুম বিষয়ক কোনো নাম পেয়েছে তৎক্ষণাৎ সেটি অনুসন্ধানের আদেশ দিয়েছে। কিন্তু এই অনুসন্ধানকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করছে একটি মহল। এ ছাড়া আফগানিস্তান, ব্রুনাই, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের দূতাবাস কর্মকর্তা, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবির ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী আলোচনায় অংশ নেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর