রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিয়ের প্রলোভনে ঢাকা থেকে মাদারীপুর নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ

মাদারীপুর প্রতিনিধি

বিয়ের প্রলোভনে ঢাকা থেকে মাদারীপুরের ডাসারে এনে এক নারীকে (৪০) দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে ডাসার থানায় মামলাটি করেন। পরে বিষয়টি গতকাল দুপুরে সংবাদকর্মীদের কাছে জানান ওই ভুক্তভোগী। অভিযুক্তরা হলেন- বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাগুরা মাদারীপুর গ্রামের এসকেন্দার হাওলাদারের ছেলে দুলাল হাওলাদার (৩০), একই এলাকার কাদের হাওলাদারের ছেলে মো. ইদ্রিস হাওলাদার (৫০), মাদারীপুরের পূর্ব ডাসার গ্রামের রকমান শেখের ছেলে মো. মানিক শেখ (৩০), ঢাকার মিরপুর এলাকার চায়ের দোকানদার বাবু ওরফে মানিক (৪০)। মামলার সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহকর্মীর স্বামী মারা যাওয়ার পর সন্তান নিয়ে ঢাকার মিরপুর এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকেন। ওই সুবাদে তার বাসার সামনে চায়ের দোকানদার বাবু ওরফে মানিকের সঙ্গে পরিচয় হয়। চায়ের দোকানদার বাবু জানান, মো. মানিক শেখের কাছে ভালো একটি ছেলে আছে। সেই ছেলের বাড়িঘর দেখে যদি পছন্দ হয় তাহলে সবাই মিলে তার সঙ্গে ভিকটিমকে বিয়ে দিবেন। বাবুর কথায় ভুক্তভোগী নারী রাজি হয়। পরে আসামি মানিক শেখের মোটরসাইকেলে গত বুধবার দুপুরে ঢাকার মিরপুর থেকে গৌরনদী উপজেলার মাগুরা মাদারীপুর এলাকার উদ্দেশে রওনা দেন। পরে গৌরনদী পৌঁছালে মানিক শেখ বলেন, দুলাল হাওলাদারের সঙ্গে তোমার বিয়ে হবে। তার বাড়িঘর তুমি দেখে ও চিনে নাও। পরে সেখান থেকে তারা রাত ৯টার দিকে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার কালাম ব্যাপারীর বাড়িতে নিয়ে আসেন। কালাম ব্যাপারি আসামি ইদ্রিসের আত্মীয় হওয়ার সুবাদে চারজনকে তাদের ঘরে থাকতে দেন। কালাম ব্যাপারীর স্ত্রী খাবার দেন। খাবার খাওয়া শেষ করে যে যার মতো ঘুমিয়ে পড়েন। এদিকে দুলাল হাওলাদার, মানিক শেখ, ইদ্রিস ও ভুক্তভোগী নারী টেলিভিশন দেখেন। এ সময় মানিক শেখ ভুক্তভোগী নারীকে দুলাল হাওলাদার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে প্রস্তাব দেয়। এতে ওই নারী রাজি না হলে তারা হত্যার হুমকি দিয়ে চারজন মিলে ধর্ষণ করে রাতেই পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি বাড়ির মালিক কালাম ব্যাপারীসহ ভুক্তভোগী নারী তার স্বজনদের জানান। পরে স্বজনদের পরামর্শে মাদারীপুরের ডাসার থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই নারী।

ভুক্তভোগী নারী বলেন, আমাকে তারা বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ঢাকা থেকে মাদারীপুরে এনে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেছে।

ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান হাসান বলেন, মামলা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর