খুলনা নগরীসহ আশপাশে ডুমুরিয়া, তেরখাদা, বটিয়াঘাটা উপজেলার ২৮টি খালের জমি বেদখল হয়ে গেছে। ভূমি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ভরাট হওয়া সরকারি খালের জমি অনেক ক্ষেত্রে শ্রেণি পরিবর্তন করা হয়েছে। খুলনা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে সুপারিশ প্রণয়ন কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটে দখল হওয়া খালের বিষয়েও তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। নগরীর অভ্যন্তরে নিরালা খাল, মতিয়াখালী খাল, ক্ষেত্রখালী খাল, মন্দার খাল, নবীনগর খাল, তালতলা খাল, ক্ষুদে খাল, রায়েরমহল মোল্লাপাড়া খাল, বাস্তুহারা খাল, ডুবি খালসহ অসংখ্য খালের জমি বেদখল অবস্থায় রয়েছে। বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান খালের সরকারি জমি দখলে নিয়েছে, আবার কোথাও খালের জমি ভরাট করে চলাচলের রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। এতে শহরের পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। বটিয়াঘাটা উপজেলার কৃষ্ণনগর মৌজায় ৮টি খাল বেদখল হয়ে গেছে। খালের ভরাট হওয়া জমিতে দলীয় কার্যালয়, মুরগির ফার্ম ও বসতবাড়ি করা হয়েছে। এ নিয়ে আদালতে রিট করেছেন এলাকাবাসী। তেরখাদার পশ্চিমপাড়া এলাকায় চিত্রা নদীর সংযুক্ত খালের জমিতে বসতবাড়ি নির্মাণ কাজ চলছে। ২০১৯ সালে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ময়ূর নদীসহ ২২টি খালের জমি অবৈধ দখলমুক্ত করতে বড় ধরনের অভিযান চালানো হয়। সে সময় খালের জমিতে থাকা অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু অভিযান বন্ধ হওয়ার পর অনেক স্থানই নতুন করে বেদখল হয়ে গেছে। জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, অতীতে উচ্ছেদ করলেও ভূমি দস্যুরা নদীখালের জমি আবারও দখলে নিচ্ছে। শিগগিরই বড় পরিসরে অভিযান চালিয়ে সব খাল দখলমুক্ত করা হবে।