সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

দুই শতাধিক মোটরসাইকেল চুরি করেছে দুই ভাই

নিজস্ব প্রতিবেদক

মো. রিপন মাতাব্বর ওরফে রফিকুল ইসলাম ওরফে রিপন হাওলাদার এবং তার ছোট ভাই মো. বাদল মাতাব্বর বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার নন্দপাড়ায়। মোটরসাইকেল চুরিই তাদের নেশা এবং পেশা। মাস্টার কি দিয়ে বাইক খুলে লাপাত্তা হতেন দুই ভাই। যে কোনো বাইক নিমিষেই খুলে যাওয়ায় ওই চাবির নাম দেন আলিবাবা। চুরি করা ১২৫ সিসির গাড়ি বিক্রি করতেন ৩০-৪০ হাজার টাকায় এবং ১৫০ সিসি বা তার ঊর্ধ্বে বাইক বিক্রি করতেন ৭০-৮০ হাজার টাকায়। ৮ বছরে দুই শতাধিক মোটরসাইকেল চুরি করেছে দুই ভাই। সম্প্রতি গুলশান এলাকা থেকে একটি বাইক চুরি করে বিক্রির সময় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) জালে ধরা পড়ে দুই ভাই। গতকাল রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, ভাটারা ও গুলশান থানার দুটি মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ১১টি চোরাই মোটরসাইকেল ও একটি চোরাই সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ চোর চক্রের সদস্য দুই ভাই রিপন ও বাদলকে গ্রেফতার করে ডিবির গুলশান বিভাগ। মোটরসাইকেল চুরির মামলায় সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দুই ভাইকে গ্রেফতার করা হয়। পরে একদিনের রিমান্ডে নিয়ে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে পাঁচটি চোরাই মোটরসাইকেল এবং গাজীপুরের কালীগঞ্জ থেকে ছয়টি চোরাই মোটরসাইকেল ও একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়। ডিবি প্রধান হারুন বলেন, গ্রেফতার রিপন ও বাদলের সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে। কেউ মোটরসাইকেল পার্কিং করে রেখে গেলে বাদল মোটরসাইকেল মালিকের গতিবিধি লক্ষ্য রাখে। আর তার বড় ভাই রিপনের কাছে থাকা আলিবাবা নামে খ্যাত মাস্টার কি দিয়ে কয়েক সেকেন্ডে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃতরা ৮ বছরে ভাটারা, বাড্ডা, গুলশান, বনানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল, টিএসসি, নগর ভবন, গুলিস্তান, ধানমন্ডি লেক, উত্তরা, যাত্রাবাড়ী, কদমতলীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে দুই শতাধিক মোটরসাইকেল চুরি করেছে। রিপনের নামে তিনটি মাদকসহ ২০টি চুরির মামলা ও বাদলের নামে তিনটি চুরির মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, চুরি করা এসব মোটরসাইকেল কম টাকায় ক্রয় করে যারা ব্যবহার করে তাদেরও গ্রেফতার করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর